রইসির বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ

|

প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবার ২৪ ঘণ্টা পেরোনোর আগেই যুক্তরাজ্য ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইব্রাহিম রইসিকে নিয়ে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দাবি ইরানের নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে হত্যা, নির্যাতন এবং জোরপূর্বক অপহরণসহ গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের সাথে সরাসরি জড়িত।

ইব্রাহিম রইসি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী ঘোষিত হবার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মানবাধিকার সংস্থাটি এমন রিপোর্ট প্রকাশ করলো। শনিবার (১৯ জুন) বিকালে ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুর রেজা রাহমানি ফাজলি এক সংবাদ সম্মেলনে ইব্রাহিম রইসিকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। ফল ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করলো অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিব অ্যাগনেস ক্যালামার্ডকে উদ্ধৃত করে রিপোর্টটিতে বলা হয়েছে, সদ্য নির্বাচিত ইব্রাহিম রইসির বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত হওয়া উচিত। ১৯৮৮ সালের দিকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের দমন করতে ইব্রাহিম রইসি কীভাবে ডেথ কমিশনের সদস্য হিসেবে ভূমিকা পালন করেছেন তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করা হয় প্রতিবেদনটিতে।

এছাড়া আলোচিত এই ডেথ কমিশন কিভাবে ১৯৮৮ সালে জোরপূর্বক অপহরণসহ এভিন ও গহরদাশত কারাগারে হাজার হাজার প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনীতিবিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিলো তা স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে। ইরান এখন পর্যন্ত রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ভুক্তভোগীদের মরদেহ পদ্ধতিগতভাবে গোপন রেখেছে।

রিপোর্টে আরও বলা হয়, ইরানের বিচার বিভাগীয় প্রধান হিসেবে ইব্রাহিম রইসি তার ক্ষমতা ব্যবহার করে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ওপর সরাসরি দমন-পীড়ন চালিয়েছেন। ৬০ বছর বয়সী রইসি তার কর্মজীবনের বেশিরভাগ সময় একজন সরকারি কৌঁসুলি হিসেবে কাজ করেছেন। ২০১৯ এ হাসান রুহানি সরকার তাকে বিচার বিভাগের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেয়। তারপর থেকে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগ পর্যন্ত ইব্রাহিম রইসি ইরানের বিচার বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

আগামী আগস্টে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন রইসি।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply