টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের বাসাইলে গ্রাহকের কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে ডাচ-বাংলা ব্যাংকিং বুথের এজেন্ট সারোয়ার হোসেন সবুজের বিরুদ্ধে। বর্তমানে সে ফুলকি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি।
ভুক্তভোগীরা জানায়, বাসাইলের ফুলকী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সবুজ সেখানকার ডাচ-বাংলা ব্যাংকিং বুথের এজেন্ট হিসেবে কাজ করতো। সেখানে প্রবাসীদের স্ত্রী এবং আত্মীয়দের টার্গেট করে উচ্চ সুদের প্রলোভন দেখিয়ে ব্যাংকে টাকা জমা রাখতে প্রলুব্ধ করতো সে। অতি মুনাফার আশায় অনেকেই সবুজের কাছে টাকা জমা রাখেন। কিন্তু জমাকৃত টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে তারা দেখেন তাদের জমানো টাকা ব্যাংক হিসেবে নেই। এজেন্ট সবুজের কাছে টাকার বিষয়ে জানতে চাইলে সে টালবাহানা শুরু করে। এরপর হঠাৎ করে গ ত সাতদিন ধরে খোঁজ মিলছে না সবুজের।
গ্রাহক রুম্পা বেগম বলেন, বিশ্বাস করে টাকা রেখেছিলাম। সে প্রতারণা করবে বুঝতে পারিনি। আগে টাকা জমা দিলে মেসজ আসতো কিন্তু ইদানিং মেসেজ আসছিলো না। এ বিষয়ে জানালে তারা বলতো সার্ভার নষ্ট হয়েছে।
আরেক গ্রাহক আফজাল হোসেন বলেন, বিদেশে থেকে পাঠানো ৯ লাখ টাকা আমার মা ও স্ত্রী জমা রেখেছে। তারাও গ্রামের ছেলে হিসেবে বিশ্বাস করেছে। দেশে এসে টাকা উঠাতে গেলে জানতে পারি টাকা নিয়ে পালিয়েছে। সে এমন প্রতারক ভাবতেও পারিনি।
ফুলকী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম বাবুল বলেন, এই ঘটনায় সকল গ্রাহক, ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দ এবং পলাতক সবুজের বাবাকে নিয়ে সালিশী বৈঠকে বসা হয়। সবুজের বাবা তার সম্পতি বিক্রি করে গ্রাহকের টাকা পরিশোধে রাজি হয়েছেন।
বাসাইল উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক খান বিপুল বলেন, সবুজ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি। সে বহু গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে শুনেছি। এ ঘটনায় তাকে পদ থেকে অব্যহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
টাঙ্গাইল ডাচ-বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং অফিসের ব্যবস্থাপক আব্দুর রউফ বলেন, এ ঘটনা নিয়ে ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ একটি মিটিং করেছে। স্থানীয় পর্যায়ের লোকজনকে সাথে নিয়ে গ্রাহকদের টাকা পরিশোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
Leave a reply