পদ্মায় নিখোঁজ প্রকৌশলীর সন্ধান দিলে পুরস্কার ২ লাখ

|

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি:

নিখোঁজের ৩ দিন পেড়িয়ে গেলো পদ্মা সেতু প্রকল্পের চীনা প্রকৌশলী জো জিয়াং (৩৫) এর সন্ধান মেলেনি। শুক্রবার (২৫ জুন) রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত খুঁজেও তাকে পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে মাওয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সিরাজুল কবীর।

যেকোনো অবস্থায় তার সন্ধান দিতে পারলে জিয়াং এর প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) থেকে ২ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে। এ বিষয়ে পদ্মা সেতুর আশেপাশের এলাকাগুলোতে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে বলেও প্রকল্পের নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে।

মাওয়া নৌ-পুলিশের অফিসার ইনচার্জ সিরাজুল কবীর জানান, পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকা থেকে চাঁদপুরের মেঘনা নদী পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে নদীতে খুঁজাখুঁজি করা হয়েছে। তবে কোথাও তাকে পাওয়া যায়নি। নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়ার পর থেকেই এখনো খুঁজাখুঁজি চলছে।

তিনি আরও বলেন, জীবিত অথবা মৃত অবস্থায় নিখোঁজ প্রকৌশলীর সন্ধান দিতে পারলে ২ লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা করেছে এমবিইসি-৪ থেকে। নদীর পার্শ্ববর্তী সকল থানাকে এ বিষয়ে তথ্য পাঠানো হয়েছে।

পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের জানান, নিখোঁজ প্রকৌশলী এমবিইসি কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। নদীতে বার্জে (বড় আকৃতির ভাসমান জলযান) থাকতেন। সেখান থেকে যেহেতু তাকে এখনো পাওয়ায় যায়নি তাই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না কী হয়েছে। তার মৃতদেহ না পাওয়া পর্যন্ত সে মারা গেছে তাও নিশ্চিত না। নদীতে পড়ে নিহত অথবা অন্যত্র যেতে পারে এই দুটি ব্যাপারেই তার প্রতিষ্ঠান এমবিইসি সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা করছে।

এ বিষয়ে চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) এর এক নির্ভরযোগ্য সূত্র জানান, জিয়াংকে যেকোনো অবস্থায় পাওয়া যাওয়ার সন্ধান দিলে কোম্পানি থেকে ২ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। তাকে খুঁজাখুঁজির পাশাপাশি সন্ধান চেয়ে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া তিন নম্বর ফেরিঘাট বরাবর মাঝ নদীতে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের বৈদ্যুতিক টাওয়ার নির্মাণ কাজে নিয়োজিত ছিলেন জিয়াং। সেখানে কর্মরত অবস্থায় গত মঙ্গলবার (২২ জুন) রাত সাড়ে ৮টা থেকে নিখোঁজ রয়েছেন তিনি। এরপর থেকে তাকে খুঁজতে নদীতে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে মাওয়া কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও নৌ-পুলিশ।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply