দেশে ভয়ঙ্কর হারে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আগামী সোমবার (২৮ জুন) থেকে কঠোর লকডাউনে যাচ্ছে সারাদেশ। জরুরি সেবা ছাড়া বন্ধ থাকবে সবকিছুই।
দেশে সীমান্তবর্তী জেলাসমূহে করোনার ভয়াবহতা সামলাতে রাজশাহী ও খুলনাসহ বেশকিছু জেলায় চলছে লকডাউন। যেটাকে বলা হচ্ছে কঠোর বিধিনিষেধ। কিছু জেলা থেকে ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টাও চালু আছে।
তারপরও কমছে না সংক্রমণের হার। প্রতিদিন করোনায় মৃত্যু বাড়ছে। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) কোভিড ১৯ বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটি সারাদেশে অন্তত ১৪ দিনের শাটডাউনের পরামর্শ দিয়েছিল সরকারকে। এখন প্রশ্ন দাঁড়িয়েছে আসন্ন এই কঠোর লকডাউনই সেই শাটডাউন কিনা?
কোভিড ১৯ বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা বলেছেন, কঠোর লকডাউনই আসলে শাটডাউন অর্থাৎ সব বন্ধ। অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যেতে পারবেন না কেউ। দিল্লি ও মুম্বাই এই উপায়েই পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা বলেন, এর আগে আমরা লকডাউনের কথা বলেছিলাম মানুষ ঘরে থাকার জন্য। কিন্তু গণপরিবহন, অফিস-আদালত, মার্কেট সব খুলে দেওয়া হয়েছিল। এবার যেটা হবে সব বন্ধ থাকবে। শুধুমাত্র জরুরি সেবার সাথে যুক্ত ব্যক্তিরাই ঘরের বাইরে যাবেন। কঠোর লকডাউন বা শাটডাউন যাই হোক মূল কথা হলো কেউ ঘরের বাইরে যাবে না।
ভারতের দিল্লি ও মুম্বাই শাটডাউনের প্রসঙ্গ টেনে প্রফেসর সহিদুল্লা বলেন, যেখানে মুম্বাইতে দৈনিক ২৮ হাজারের উপরে সংক্রমণ ছিল তা তারা শাটডাউনের মাধ্যমে ১০০ তে নামিয়ে এনেছে। মৃত্যু নেমে এসেছে শূন্যের কোটায়। সব বন্ধ রাখলে কিছু দুর্ভোগ হবে কিন্তু এই মুহূর্তে এর বিকল্প নেই। দুর্ভোগ কমাতে সরকারকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
সোমবার থেকে সরকারের কঠোর লকডাউনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি, সারাদেশে প্রস্তুত আছে পুলিশও।
পুলিশের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা বলেন, সরকারের যেকোনো নির্দেশনা বাস্তবায়নে আমরা প্রস্তুত আছি। যেকোনো পরিস্থিতিতে পুলিশ সর্বোচ্চ তৎপরতা এবং পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করবে।
Leave a reply