হোয়াইট আলম। নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে, এই ব্যক্তির সাথে সাদা জড়িয়ে আছে ওতোপ্রতোভাবে। বাড়ির বাইরের লোকজন কখনও তাকে সাদা ছাড়া অন্য রঙের পোশাক পরতে দেখেনি। পাবনা শহরে এই ব্যক্তিকে দেখা যাবে হরহামেশাই। কখনও মোড়ের আড্ডায়, কখনও রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে, আবার কখনও পেশাগত দায়িত্ব পালনে।
হোয়াইট আলমের আসল নাম এস এম আলম। পেশায় সাংবাদিক। তবে সাংবাদিক পরিচয়ের বাইরে তাকে সবাই চেনে বিশেষ একটি কারণে। যখনই আলমকে রাস্তায় দেখা যাবে, অবশ্যই দেখা যাবে সাদা পোশাকে। শার্ট-প্যান্ট তো বটেই, এমনকি বেল্ট আর জুতাও পরেন সাদা।
প্রায় ৪০ বছর বছর ধরে শুভ্র রঙ গায়ে জড়িয়ে চলায় মানুষ তাকে চেনে ‘হোয়াইট আলম’ নামে। শুধু পোশাকেই ব্যতিক্রম নন আলম, অন্যান্য আচার আচরণেও ব্যতিক্রম তিনি। দিনের বেলা এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে ছুঁটে বেড়ালেও খুব বেশি বের হন না সন্ধ্যার পর। ছোটবেলায় মায়ের নির্দেশ ছিল মাগরিবের নামাজের পর বাইরে না যাবার, এখনও সেটি মানেন অক্ষরে-অক্ষরে।
হোয়াইট আলমের দিন শুরু ফজরের নামাজের মধ্য দিয়ে। এরপর প্রতিদিন বাবা-মা আর মৃত স্বজনদের কবর জিয়ারত; পরে এতিমখানায় শিশুদের সাথে কিছুক্ষণ সময় কাটানো, এটা তার নিত্যদিনকার রুটিন।
জীবনের ৫৫টি বসন্ত পার করা হোয়াইট আলম এখনও বসেননি বিয়ের পিঁড়িতে। তাই বলে ছন্নছাড়া জীবন কাটাননি কখনও। পুরোদস্তুর সংসারী আলমের পরিবারের সদস্য তার এতিম ভাগ্নে-ভাগ্নিরা।
সাংবাদিক আলম জানালেন, অন্য কোনো রঙ তাকে টানেনি কখনও। বাকি জীবনটাও তাই কাটিয়ে দিতে চান এমন সাদা পোশাকে, থাকতে চান সবার প্রিয় হোয়াইট আলম হয়েই।
Leave a reply