শত বছরের নিশ্চয়তা অথচ, নির্মাণের ২৪ বছরে ৫ দফা ভাঙনের কবলে পড়লো সিরাজগঞ্জ শহররক্ষা বাঁধ। প্রতিবারই এমন ভাঙন হলে জিও ব্যাগ আর ব্লক ফেলে ধস ঠেকানোর চেষ্টা চলে। বাঁধের গ্যারান্টি সত্ত্বেও বার বার ভাঙনে চরম আতঙ্কিত ও ক্ষুব্ধ ও যমুনা-পাড়ের মানুষ।
যমুনার ভাঙন থেকে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষায় বঙ্গবন্ধু সেতু প্রকল্পের আওতায় ১৯৯৭ সালে আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ এই বাঁধটি নির্মাণ করা হয়। ৩শ ৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এটি নির্মাণ করে দক্ষিণ কোরিয়া ভিত্তিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হুন্দাই লিমিটেড। স্থায়িত্ব নির্ধারণ করা হয় একশ বছর।
বাঁধটি নির্মাণের পর এর দায়িত্ব বুঝে নেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। এরপর ৫ দফা ভাঙনের কবলে পড়ে এটি। এর মধ্যে ৪ বারই জুলাই মাসে। ২০০৯ সালের ১০ জুলাই প্রথমবারের মতো ধস নামে শহর রক্ষা বাঁধে। একই বছরের ১৭ জুলাই দ্বিতীয় দফায় ধস। ২০১০ সালের ১৬ জুলাই তৃতীয়, ২০১১ সালের ১৮ জুলাই চতুর্থ-বারের মতো ভাঙনের কবলে পড়ে এটি। সর্বশেষ মঙ্গলবার আবারও বাঁধটি ধসে যায়। এজন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতিকে দায়ী করেছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের ধারণা, এটি নির্মাণের সময় ত্রুটি হয়েছে বলেই বাঁধ বারবার ভেঙে পড়ছে। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে শহরবাসীর মধ্যে। তারা বলছেন, ধস অব্যাহত থাকলে বিলীন হয়ে যাবে ঘরবাড়ি, হারিয়ে যাবে শহরের একাংশ।
ধস ঠেকাতে দ্রুত কাজ চলছে উল্লেখ করে শহরবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় প্রশাসন।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, এটা আমাদের একটি নমনীয় স্থাপনা। সুতরাং এটি আমাদের নিয়মিত মনিটরিংয়ের মধ্যে আছে।
জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহম্মেদ বলেন, আরও প্রায় আড়াই মিটার পানি বাড়লেও আমাদের সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
তবুও স্বস্তি পাচ্ছে না স্থানীয়রা। চাইছেন, দ্রুত স্থায়ী মেরামত। ভাঙনের যে সমস্যাটি হয়েছিলো তা আপাতত বন্ধ করা গেছে। আমি সিরাজগঞ্জ বাসীর উদ্দেশ্যে বলতে চাই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
Leave a reply