সংঘাত আর করোনা মহামারিতে নিজ দেশের মধ্যেই বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে ইয়েমেন। বর্তমানে দেশটির প্রায় ৫০ লাখ মানুষ গৃহহীন। এর মধ্যে ৪০ লাখ আছে বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে। খাবার, পানি এবং ওষুধের চরম সংকট দেখা দিয়েছে এসব ক্যাম্পে। যদিও এই পরিস্থিতির জন্য ইরান ও হুতি বিদ্রোহীদের ওপর দায় চাপাতে চাইছে ইয়েমেন সরকার এবং পশ্চিমা দেশগুলো।
ইয়েমেনের মারিব এলাকার একটি ক্যাম্পে ৮ সন্তান নিয়ে অবস্থান করছেন ফাইজা কাশেম। যুদ্ধের কারণে দুই মাস আগে নিজের সহায় সম্বল ছেড়ে আশ্রয় নেন এখানে।
ফাইজা কাসিম বলেন, আমাদের গ্রামে হঠাৎ করেই যুদ্ধ শুরু হয়। কোনোরকমে সন্তান-জীবন নিয়ে এখানে পালিয়ে এসেছি। সাথে কোনো কাপড়, খাবার, জরুরী কোনো কিছুই নিয়ে আসতে পারিনি।
সংঘাতের কারণে নিজ দেশের মধ্যেই বাস্তুচ্যুত হওয়া ইয়েমেনিরা ক্যাম্পে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। বেশিরভাগ ক্যাম্পেই ধারণক্ষমতার কয়েকগুন মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। ফলে পানি এবং খাবারের চরম সংকট দেখা দিয়েছে ।
ফাইজা কাসিম বলেন, সম্বল বলতে এখানে থাকার একটি তাবু। খাবার নেই, পানি নেই। বাথরুমের জায়গা নেই। ৩ দিন পর গোসলের সুযোগ হয়। বাথরুমের জন্য ২ ঘন্টার বেশি লাইনে অপেক্ষা করতে হয়।
ইয়েমেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ আওয়াদ বলেন, ইয়েমেন সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো নানা রকম উদ্যোগ নিয়েছে এই সংকট দূর করার জন্য। কিন্তু কোনো উদ্যোগেই সায় দেয়নি হুতি বিদ্রোহীরা। যার জন্য আজকের এই পরিণতি।
এই ইস্যুতে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেইকো ম্যাস বলেন যেহেতু হুতি বিদ্রোহীদের সাথে ইরান সম্পৃক্ত তাই সংকট সমাধানে দেশটিকে এগিয়ে আসতেই হবে। তাই ভিয়েনা সম্মেলনে আমরা এই ইস্যুতে তেহরানের সাথে আলোচনা করেছি। আসা করছি বিষয়টির শিগগিরই সমাধান হবে।
ইয়েমেনে ২০১৪ সাল থেকে শুরু হওয়া এই সংকটে এখন পর্যন্ত প্রাণ গেছে ১ লাখ ৩০ হাজার মানুষের।
Leave a reply