৯৮ বছর বয়সে বুধবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন বলিউড অভিনেতা দিলীপ কুমার। তার মৃত্যুতে বলিউডে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। টুইটারে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন অমিতাভ বচ্চন।
অমিতাভ লেখেন, চলচ্চিত্রের একটা প্রতিষ্ঠান চলে গেল। ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসের চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন দিলীপ কুমার। তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা। খোদা তাদের শক্তি দান করুন। তার আত্মার চিরশান্তি কামনা করি। গভীরভাবে শোকাহত।
T 3958 – An institution has gone .. whenever the history of Indian Cinema will be written , it shall always be 'before Dilip Kumar, and after Dilip Kumar' ..
— Amitabh Bachchan (@SrBachchan) July 7, 2021
My duas for peace of his soul and the strength to the family to bear this loss .. 🤲🤲🤲
Deeply saddened .. 🙏
অন্য এক টুইটে অমিতাভ লেখেন, স্বর্ণযুগের পর্দা নামল। আর জীবনে যা হবে না।
T 3958 -" 🙏🙏🙏🙏🙏
— Amitabh Bachchan (@SrBachchan) July 7, 2021
An epic era has drawn curtains… Never to happen again..
🙏🙏🙏🙏🙏" ~ s
দিলীপ কুমারের মৃত্যুর আগে তাকে নিয়ে একবার স্মৃতিচারণ করেছিলেন অমিতাভ বচ্চন। তিনি জানান, দিলীপ কুমারের অটোগ্রাফ পেতে তার ৪৬ বছর লেগেছিল। প্রথমবার মা-বাবার সঙ্গে গিয়েছিলেন দক্ষিণ মুম্বাইয়ের একটি হোটেলে, যেখানে দিলীপ কুমার উপস্থিত ছিলেন। নায়ককে ঘিরে ভিড়ের কারণে তিনি সফল হননি সেদিন।
অমিতাভ জানান, কিছুকাল পর আরেকটি সুযোগ আসে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু একটা পার্টি দিয়েছিলেন। দিলীপ কুমার, দেব আনন্দ, রাজ কাপুর হাজির। কিন্তু সেই পার্টিতেও অমিতাভ প্রিয় তারকার অটোগ্রাফ নিতে পারেননি।
এমনকি ১৯৮২ সালে ‘শক্তি’ ছবিতে দিলীপ কুমারের সঙ্গে কাজ করলেও অমিতাভ তার অটোগ্রাফ সংগ্রহে ব্যর্থ হন। অবশেষে তার স্বপ্ন সত্যি হয় ২০০৫ সালে। রানি মুখার্জির সঙ্গে ‘ব্ল্যাক’ সিনেমায় ছিলেন অমিতাভ। রানির আমন্ত্রণে স্ত্রী সায়রা বানুকে নিয়ে ছবি দেখতে এসেছিলেন দিলীপ কুমার। ছবি দেখে আপ্লুত দিলীপ কুমার অমিতাভকে একটা দীর্ঘ চিঠি লেখেন। তাতে অনেক প্রশংসাবাক্য থাকলেও চিঠির শেষে দিলীপ কুমারের সই দেখেই খুশিতে আত্মহারা হয়ে যান অমিতাভ বচ্চন।
উল্লেখ্য, ছয় দশকের ক্য্যারিয়ারে তিনি ৬৩টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তার স্ত্রী মুম্বাই চলচ্চিত্রের আরেক অভিনেত্রী সায়রা বানু।
দিলীপ কুমারের বলিউডে প্রবেশ ১৯৪৪ সালে ‘জোয়ার ভাটা’ সিনেমার মাধ্যমে। তবে নায়ক হিসেবে তাকে পরিচিতি দেয় ১৯৪৭ সালে মুক্তি পাওয়া ‘জুগনু’। তারপর থেকেই বলিউডে শুরু হয় দিলীপ কুমারের ‘নয়া দৌড়’। ‘মুঘল-এ-আজম’, ‘মধুমতী’ থেকে ‘ক্রান্তি’, ‘মশাল’, ‘কর্মা’, ‘সওদাগর’, ‘কিলা’ প্রায় পাঁচ দশক ধরে বলিউডে রাজত্ব করেছেন কিংবদন্তি অভিনেতা। তিনিই প্রথম ছবি পিছু ১ লাখ টাকা করে পারিশ্রমিক নিতে শুরু করেন।
এনএনআর/
Leave a reply