সেঞ্চুরি বঞ্চিত লিটন স্বস্তি দিলেন বাংলাদেশকে

|

৫ রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হলেও দলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলেছেন লিটন দাস।

বাংলাদেশের উপর চাপ বজায় রেখেছে জিম্বাবুয়ে। একমাত্র টেস্টের প্রথম দিনের শেষ সেশনের খেলায় বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২৯৪ রান। তিরিপানোর জোড়া আঘাতে ফিরে যান সেঞ্চুরি বঞ্চিত লিটন দাস ও অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ। একমাত্র স্বীকৃত ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ ৫৪ ও পেসার তাসকিন ক্রিজে আছেন ১৩ রান নিয়ে।

শুরুতেই আঘাত হানেন ব্লেসিং মুজারাবানি। শূন্য রানে সাইফ হাসানকে বোল্ড করেন তিনি। থিতু হতে দেননি নাজমুল হোসেন শান্তকেও। ২ রানে শান্তকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান মুজারাবানি। এরপর শাদমান ইসলামকে নিয়ে বিপর্যয় সামাল দেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। গড়েন ৬০ রানের জুটি। তবে ২৩ রানে শাদমানকে ফেরান এনগারাভা। তবে পর পর দুই ওভারে মুশফিকুর রহিমের পর ফেরেন সাকিব আল হাসানও। হাফ সেঞ্চুরি করা মুমিনুল ৭০ রানে ফেরেন নাউচির বলে। ১৩২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে স্বল্প সংগ্রহেই গুটিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় পড়ে টাইগাররা। এরপর ঘুরে দাঁড়ান লিটন দাস ও মাহমুদউল্লাহ। এ দুজনের ১৩৮ রানের মহামূল্যবান জুটিতে ম্যাচে ফেরে টাইগাররা। প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৫ রান দূরে থাকতে তিরিপানোর বলে নিয়াইচির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান লিটন। ৪২ ইনিংসে এই নিয়ে ৯টি হাফ সেঞ্চুরি পেলেন লিটন, যার মাঝে আছে নব্বইয়ের ঘরে দুটি ইনিংস।

লিটন ফিরে যাবার পরের বলেই শূন্য রানে আউট হন মেহেদি মিরাজ। ৬ উইকেটে ২৭০ রান থেকে নিমিষেই ৮ উইকেটে ২৭০ হয়ে যায় টাইগাররা। বাকি সময়টুকু দেখেশুনেই পার করেছেন এই টেস্টের মাধ্যমে এ ফরম্যাটে ফিরে আসা নির্ভরযোগ্য ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ।

৮ জন স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যান টাইগার একাদশে। দুই পেসার ও দুই স্পিনিং অলরাউন্ডার সাকিব ও মিরাজকে নিয়ে টাইগার বোলিং লাইনআপ আরও একজন পেসারের অভাব বোধ করবে কিনা সে প্রশ্নই উঠছিল জিম্বাবুয়ে সিমারদের সাফল্য দেখে।

করোনার থাবায় জিম্বাবুয়ে একাদশে নেই শন উইলিয়ামস আর ক্রেইগ অরভিন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply