২০১৮ বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে ব্যর্থ হওয়া, তারপর রবার্তো মানচিনির তত্ত্বাবধানে খোলনলচে পাল্টে যাওয়া, রক্ষণাত্মক ফুটবলকে ঝেড়ে ফেলে তারুণ্য নির্ভর অ্যাটাকিং ফুটবল রপ্ত করা, ফলাফল হাতেনাতেই পেয়েছে ইতালি। ইউরো তো মাতিয়েছেই, ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে কাপ জয় করে অর্জনের খাতা ষোলো আনাই পূর্ণ করেছে। ইউরো সেরা এখন মানচিনির ইতালি।
লন্ডের ওয়েম্বলি স্টেডিয়াম যথারীতি উৎসবের আমেজে ছিল। দর্শকদের সিংহভাগ যে ‘ফুটবলকে ঘরে ফেরানো’র শ্লোগানে মুখর ছিল সেটি আর না বললেও চলছে। প্রত্যাশার পারদ চড়িয়ে ম্যাচ শুরুর ২ মিনিটে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। প্রথমার্ধজুড়ে ছিল ব্রিটিশদেরই দাপট। বিরতির পর মাঠে নেমে ইতালি একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে। এতে অগোছালো হয়ে পড়ে ইংল্যান্ডের মাঝমাঠ। ফলফলও ঘরে তুলে ইতালি। ম্যাচের ৬৭ মিনিটে এল শ’র গোল শোধ করেন এল বোনুচ্চি। ইনসিনিয়ের কর্নারে ভেরাত্তির হেড সাইডবারে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বলে পোস্টের সামনে থাকা লিওনার্দো বোনুচ্চি লক্ষ্যভেদ করতে ভুল করেননি।
এরপর দু’পক্ষই রক্ষণ সামলে একাধিক আক্রমণ করলেও নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ম্যাচটি থাকে অমীমাংসিত। অতিরিক্ত সময়ে দু’দলই রক্ষণের ব্যাপারে বাড়তি সতর্ক ছিল। ফলাফল টাইব্রেকারময় ইউরোর শেষটাও টাইব্রেকারে। তাতে ব্রিটিশদের হতাশায় ভাসিয়ে ৩-২ ব্যবধানে ম্যাচ জেতে মানচিনির শিষ্যরা। ফুটবলকে ঘরে ফেরানোর স্বপ্নভঙ্গ ব্রিটিশদের আর প্রত্যাবর্তনের ঝড় তুলে ইউরোসেরা মানচিনির ইতালি।
Leave a reply