পশু ক্রয় থেকে কোরবানি পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ চিকিৎসকদের

|

কোরবানির আগে ও পরে স্বাস্থ্যবিধি পালনের ওপর জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

করোনা মহামারির মধ্যেই উদযাপিত হতে যাচ্ছে মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা। সংক্রমণের ঝুঁকির মাঝেই পশুর হাটে চলছে কেনাবেচা। কিন্তু একটু অসাবধানতা ভোগাতে পারে পুরো পরিবারকে। তাই পশু কেনা থেকে শুরু করে কোরবানি পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ চিকিৎসকদের।

মুসলমানদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা। তাই করোনা মহামারির মাঝেও পশু কিনতে হাটে ভিড় করেছেন হাজারো মানুষ। সর্বোচ্চ সচেতন থাকলেও ভিড় আর কাদাপানিতে মাখামাখি হওয়া ছাড়া উপায় নেই।

পছন্দের পশু সংগ্রহে মরিয়া সবাই। সিটি কর্পোরেশনের কর্মীরা সবাইকে স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে সতর্ক করলেও খুব একটা গা করছেন না অনেকেই। শুধু করোনাই নয়, নানাবিধ রোগের সংক্রমণ হতে পারে পশুর হাট থেকে। তাই পরিচ্ছন্নতার বিকল্প নেই।

হাট থেকে পশু বাড়িতে আনার পর আরও বেশি সতর্ক হতে হবে। পশুকে ঘিরে শিশুদের আগ্রহ আর আনন্দ যেন নতুন বিপত্তি ডেকে না আনে খেয়াল রাখতে হবে সেদিকেও।

হাটের ঝক্কি আর বাড়ির সামনেই কোরবানীর পশুর বর্জ্য, সবটাই হঠাৎ করেই স্বাস্থ্যের জন্য একটা বড় পরিবর্তন এনে দেয়। আর এই সময়েই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে খুব বেশি সতর্ক থাকতে বলছেন চিকিৎসকরা।

মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. মৌসুমী সান্যাল বলেন, পশুর হাটে শারীরিক সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকতে হবে, হাট থেকে বাসায় ফিরে শরীর এবং কাপড় অবশ্যই গরম পানি ও সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। হাত পা ডেটল বা স্যাভলন দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

আগের চেয়ে পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে সচেতনতা বেড়েছে। তাই ঈদের বাজারে একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে বিভিন্ন ধরনের জীবাণুনাশক।

করোনার এই সময়ে সচেতনতাই পারে সবাইকে সুস্থ রাখতে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply