কোরবানির ঈদে বাড়তি চাহিদা থাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনেক মিলে মশলায় মেশানো হচ্ছে ভেজাল দ্রব্য। অধিক মুনাফার আশায় এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী ধানের তুষ, চালের গুড়া ও কাপড়ে দেয়ার ক্ষতিকারক রং মেশাচ্ছেন মশলায়।
কোরবানি ঈদে মশলার চাহিদা বাড়ে বহুগুণ। এই সুযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অনেক মিলে মশলায় মেশানো হচ্ছে চালের গুড়া, ধানের তুষ ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক কাপড়ের রং। এছাড়া অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তো রয়েছেই।
তবে, মশলায় ভেজাল মেশানোর অভিযোগ মানতে নারাজ মিল মালিকরা। এক মিল মালিক বললেন, আমরা নিজেরা যা খেতে পারি সেটাই প্রক্রিয়াজাত করি, অন্যকিছু বা ভেজাল মশলা খাওয়াই না।
চিকিৎসকরা বলছেন ভেজাল মশলা খেলে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে ক্যান্সারের মতো মরণব্যাধিও। মশলা ভাঙানোর কারখানাগুলোয় কড়া নজরদারির তাগিদ দিয়েছেন তারা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. ফাইজুর রহমান ফয়েজ বলেন, পাকস্থলি-যকৃত-কিডনি প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে ভেজাল মশলার কারণে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান বলেন,মশলায় ভেজাল মেশানোর বিষয়টি ইতোমধ্যে নজরে এসেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মশলা ভাঙানোর অর্ধশতাধিক মিল রয়েছে। এক্ষেত্রে মনিটরিং আরও জোরদার করা হবে বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।
Leave a reply