তামিম ইকবালের ক্যাপ্টেনস নকে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করলো টাইগাররা। শেষ একদিনের ম্যাচে স্বাগতিকদের ৫ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়েকে ২৯৮ রানে অলআউট করে তামিমের ক্যারিয়ারের ১৪তম সেঞ্চুরিতে ভর করে দুই ওভার আগেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় টাইগাররা।
২৯৯ রানের বড় টার্গেট তাড়া করতে নেমে তামিম ইকবাল ও লিটন দাস দারুণ শুরু এনে দেন। প্রথম ১০ ওভারে কোন উইকেট না হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ৫৭ রান যোগ করেন দুজন। চার বাউন্ডারি আর দুই ছক্কায় ৪৬ বল ফিফটি তুলে নেন তামিম।
মাধভেরের বলে লিটন ৩২ রান করে সাজঘরে ফিরলে দলীয় ৮৮ রানে ছন্দপতন হয়।
দ্বিতীয় উইকেটে সাকিবকে নিয়ে ৫৯ রানের জুটি গড়েন তামিম। এবার গেল ম্যাচের নায়ক সাকিব মনোসংযোগ হারান ৩০ রান করে।
তবে দুই সঙ্গী হারালেও অবিচল ছিলেন তামিম। দেশের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১৯তম ওডিআই ম্যাচে তুলে নেন ক্যারিয়ারের ১৪তম সেঞ্চুরি। ৮৭ বলের এই সেঞ্চুরিটি তামিমের ক্যারিয়ারের দ্রুততম শতক।
১১২ রান করে তামিম তিরিপান্নোর শিকারে পরিণত হলে ২০৪ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর ওডিআইতে প্রথমবার গোল্ডেন ডাকে ফেরেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
তামিমের ভিতকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যাবার আনুষ্ঠানিকতা সারেন প্রায় ৫ বছর পর ওয়ানডে ম্যাচ খেলার সুযোগ পাওয়া নুরুল হাসান সোহান। পঞ্চম উইকেটে মিঠুনকে সাথে নিয়ে গড়েন ৬৫ রানের জুটি। ৩০ রান করে মিঠুন ফিরলেও, আফিফকে সাথে নিয়ে ৪৫ রানের অপরাজিত থেকে দলকে ৫ উইকেটের জয় এনে দেন সোহান।
এদিকে দিনের শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই মারুমানিকে হারালেও মেকশিফট ওপেনার রেগিস চাকাভার ব্যালটে ভালো শুরু পায় জিম্বাবুয়ে। সাকিব মারুমানিকে আর ২০০তম ওয়ানডে খেলা রিয়াদ ব্রেন্ডন টেইলর ও ডিয়ন মায়ার্সকে ফেরালেও অবিচল ছিলো চাকাভা।
ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি তুলে যখন বিপদজনক হয়ে উঠছিলো এই উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান তখন স্ট্যাম্প উপড়ে দিয়ে তাকে ৮৫ রানে থামান তাসকিন আহমেদ। ততক্ষণে স্কোর বোর্ডে ৫ উইকেটে ১৭২ রান যোগ করে ফেলেছে জিম্বাবুয়ে।
এই ভিতকে কাজে লাগিয়ে রায়ান বার্ল ৫৯ আর সিকান্দার রাজা ৫৭ রানের ইনিংস খেললে মূলত সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৯৮ রান করে জিম্বাবুয়ে। তবে ১২ বল আগেই সেই স্কোর টপকে জয় ছিনিয়ে নেয় বাংলাদেশ।
Leave a reply