বেঁচে থাকলে আজও মঞ্চ মাতাতেন চেস্টার বেনিংটন। তবে কে জানতো সবাইকে ছেড়ে হঠাৎ তিনি চলে যাবেন না ফেরার দেশে। জনপ্রিয় এই রকস্টারের আজ ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী।
২০০০ সালে যথন রক জনরার গানগুলো হারাতে থাকে জনপ্রিয়তা তখন রকের সাথে র্যাপ যুক্ত হয়ে নতুন এক জনরার জন্ম হয়। এরপর সেই গানগুলো একে একে শ্রোতাদের কাছে হয়ে ওঠে জনপ্রিয়। এই জনরার আবিষ্কারক লিংকিন পার্ক। ব্যান্ডটির জনপ্রিয় হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব ছিলো ব্যান্ডের ফ্রন্টম্যান চেস্টার বেনিংটনের।
১৯৭৬-এ আরিজোনার ফিনিক্সে জন্মগ্রহণ করেন এই তারকা। ছোটবেলা থেকে জীবন সংগ্রামের লড়াইয়ে যোগ দিতে হয়েছে তাকে। অর্থের অভাবে জন্য বার্গার কিংয়ে চাকরি নিয়েছেন, কিন্তু সঙ্গীত ছাড়েননি। দিনে বার্গার কিংয়ে চাকরি আর রাতে বিভিন্ন ক্লাবে গান গাওয়া, আর এভাবেই একদিন লিংকিন পার্ক ব্যান্ড মেম্বার মাইক শিনোডার নজর কাড়েন তিনি।
চেস্টারকে ব্যান্ডে যোগ করার সময় ব্যান্ডের নাম ছিলো ‘জিরো’, এরপর প্রথম অ্যালবামের টাইটেলে ব্যান্ডের নাম হয়ে যায় ‘হাইব্রিড থিওরি’। কিন্তু রেকর্ড লেভেল কোম্পানি ওয়ার্নার ব্রাদার্সের সঙ্গে চুক্তি হওয়ার পর ব্যান্ডের নাম হয়ে যায় লিংকিন পার্ক। তারপর শুধু ইতিহাস সৃষ্টি হবার পালা।
অনন্য গায়কীর কারণে শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয় ছিলেন চেস্টার, লিংকিন পার্কের সহ প্রতিষ্ঠাতা শিনোদার র্যাপের সঙ্গে তার গায়কীতে জন্ম দিয়েছে ‘ইন দি এন্ড’, ‘নাম্ব’, ‘ওয়ান স্টেপ ক্লোজার’-এর মতো জনপ্রিয় সব গানের, ২০০০ সাল পরবর্তী সময়ের রক শ্রোতাদের জন্য যা ছিল এক নতুন অভিজ্ঞতা। লিংকিন পার্কের সর্বশেষ অ্যালবাম ‘ওয়ান মোর লাইট’ প্রকাশিত হয় ২০১৭ সালের মে মাসে।
তবে এ সবই এখন ইতিহাস। ২০১৭ সালের ২০ জুলাই স্বেচ্ছামৃত্যু বরণ করে নেন চেস্টার।
Leave a reply