স্টাফ রিপোর্টার, নাটোর:
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে কর্মরত সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মাহমুদুর রহমানের ভাই করোনায় আক্রান্ত হয়ে নাটোর সদর হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন। তাদের সাথে দেখা করে তিনিসহ তার বড়ভাই নাটোরের গুরুদাসপুরের মরিয়ম মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আলী আহমেদ এবং অন্যান্য রোগীর আত্মীয়-স্বজনেরা বাইরে অবাধে ঘোরাফেরা করতে থাকেন।
এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) নাটোরে কর্মরত টেলিভিশন সাংবাদিকরা সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে করোনা ওয়ার্ড থেকে বের হয়ে অবাধে ঘোরা ফেরার কারণ জানতে চাইলে তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন ওই সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মাহমুদুর রহমান ও তার বড় ভাই ফিরোজ আলী আহমেদ।
ঘটনাটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে টনক নড়ে প্রশাসনের। তারা তাৎক্ষণিকভাবে করোনা ইউনিটে রোগীদের আত্মীয়-স্বজনদের যাতায়াত বন্ধ করে দেয়। কিন্তু সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মাহমুদুর রহমান করোনা ওয়ার্ডে অবাধ যাতায়াত করেও গত শুক্রবার (২৩ জুলাই) তাড়াশে ফিরে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। তার ভাই ফিরোজ আলী আহমেদও এলাকায় অবাধে ঘোরাফেরা করতে থাকে। এ বিষয়ে স্থানীয়রা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে স্ব-স্ব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা তাদের দুজনকে আইসোলেশনে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আকতারুজ্জামান বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। তবে অফিস বন্ধ থাকায় এক্ষেত্রে এখন আমার করনীয় কিছু নেই। তবে একজন সরকারি দায়িত্বশীল কর্মকর্তার এ ধরনের আচরণ অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক।
তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেজবাউল করিম বলেন, সাংবাদিকরা ঘটনাটি জানানোর পরপরই, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মাহমুদুর রহমানকে দ্রুত উপজেলা কোয়ার্টারে আইসোলেশনে পাঠানো হয়।
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা তমাল হোসেন জানান, মরিয়ম মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আলী আহমেদকে শনিবার থেকে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। এই দুজন সরকারী কর্মকর্তা সাংবাদিকদের সাথে যে আচরণ করেছে তা দুঃখজনক।
সাংবাদিকদের গালিগালাজ করার সেই আলোচিত ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় নেটিজনরা তাদের প্রতি ব্যাপক ঘৃণা প্রকাশ করেছেন।
Leave a reply