রক অ্যান্ড রোল জগতে ৫১ বছর ধরে উন্মাদনার অনন্য জনপ্রিয় ব্যান্ড দ্য রোলিং স্টোনস৷ আর এই উন্মাদনার কেন্দ্রীয় চরিত্র মিক জ্যাগার৷ চিরতরুণ এই সুপারস্টারের আজ জন্মদিন।
ছেলেবেলায় খুব লাজুক প্রকৃতির ছিলেন মিক। কথাটি হয়তো কোনোভাবেই বিশ্বাস করানো সম্ভব না মিকের ভক্তদের। তবে ব্যান্ডটি দাঁড় করাতে গিয়ে লাজুক মিককে ধীরে ধীরে বদলে দেন ব্যান্ডের ম্যানেজার অ্যান্ড্রু ওল্ডহ্যাম৷ আর তাই পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে রক সংগীত জগতে জ্যাগার ও তার ব্যান্ড দ্য রোলিং স্টোনস পেয়েছে ব্যাপক সাফল্য ও জনপ্রিয়তা৷
১৯৪৩ সালের আজকের এই দিনে ইংল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন মিক। ছোটবেলা থেকেই গানের ব্যাপারে বেশ আগ্রহী ছিলেন তিনি৷ স্কুলজীবন থেকেই তিনি ছিলেন ‘আর অ্যাণ্ড বি’ বা রিদম অ্যাণ্ড ব্লু-জ-এর অনুরাগী৷ ১৯৬১ সালে লন্ডন স্কুল অফ ইকনমিক্স-এ পড়ার সময়ে হঠাৎ তার দেখা হয়ে যায় ছোটবেলার বন্ধু, গিটারিস্ট কিথ রিচার্ডের সঙ্গে৷ আর সেই সাক্ষাতেই জন্ম হয় রক সঙ্গীতে ইতিহাস সৃষ্টি করা একটি ব্যান্ডের।
এর কিছুদিন পরই কিথ রিচার্ড, ব্রায়ান জোন্স, ইয়ান স্টুয়ার্ট, ডিক টেইলার ও টোনি চ্যাপম্যানকে নিয়ে ‘দ্য রোলিং স্টোনস’ গড়ে তোলেন জ্যাগার৷ ১৯৬২ সালের ১২ই জুলাই লন্ডনের জ্যাজ ক্লাব মার্কিতে স্টোনস পরিবেশন করে তাদের প্রথম কনসার্ট৷ তারপর থেকেই শুরু হয় রোলিং স্টোনসের জনপ্রিয় হয়ে ওঠা৷ কিথ রিচার্ডের সঙ্গে মিলে জ্যাগার রচনা করেন দারুণ কিছু জনপ্রিয়সব গান। ব্লু-জ ও জ্যাজ প্রভাবিত সেই গানগুলো সেইসময় খুব সাড়া জাগায়৷ একের পর এক হিট অ্যালবাম বের হয় বাজারে৷ ‘দ্য বিটলস’ এর পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে ‘দ্য রোলিং স্টোনস’এর খ্যাতিও৷
সিনেমার জগতে অভিনেতা হিসেবেও মিক জ্যাগার পেয়েছেন সমান জনপ্রিয়তা৷ ১৯৮৫ সালে ‘রোলিং স্টোনস’-এর পাশাপাশি শুধু নিজের গান নিয়ে একক ক্যারিয়ারও শুরু করেন মিক৷ ২০১১ সালে বেশ কয়েকজন খ্যাতিমান সংগীত শিল্পীকে নিয়ে জ্যাগার গড়ে তুলেন একটি ব্যাতিক্রমধর্মী ব্যান্ড ‘সুপারহেভি’৷ সেখানে সদস্য হিসেবে আছেন ভারতের বিখ্যাত সংগীত পরিচালক এ আর রহমানও৷
১৯৮৯ সালে মিক জ্যাগার এবং ‘দ্য রোলিং স্টোনস’-কে ‘রক অ্যান্ড রোল হল অফ ফেম’ এ অভিষিক্ত করা হয়৷ ২০০৩ সালে নাইট উপাধিতে ভূষিত হন তিনি৷ সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য আরও অনেক পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন স্যার মাইকেল ফিলিপ জ্যাগার৷
Leave a reply