শামীম পাটোয়ারী কথা দিয়ে কথা রাখতে পেরেছেন। দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচের পর বলেছিলেন ম্যাচ জিতে ফিরতে চান। সে কথা তিনি রেখেছেন বাংলাদেশ দলকে সিরিজ জিতিয়ে। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী এই তরুণ অবশ্য সম্ভাবনার কথা জানান দেন ২০১৫ সালেই। ডাবল সেঞ্চুরি করে জানিয়েছিলেন, তিনি আসছেন।
মুশফিকুর রহিম তরুণ শামীম পাটোয়ারীকে চিনেছিলেন ৬ বছর আগে। ২০১৫ সালে পশ্চিমবঙ্গ অনূর্ধ্ব-১৭ দলের বিপক্ষে করেছিলেন ডাবল সেঞ্চুরি। শামীমের ২২৬ রানের ইনিংসটা তাই মুশফিকের কাছে ছিল আগামী দিনের বার্তা।
মুশফিকের চেনা যে ভুল ছিল না তার প্রমাণ সাকিব আল হাসানের সেলফিতে বাংলাদেশ। যার সামনে তিন তরুণ। আফিফ-শরিফুলের সাথে শামীম পাটোয়ারী, যিনি ১৫ বলে ৩১ রানের এক ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েছেন। দুইশোর বেশি স্ট্রাইক রেটই বলে দেয় বলকে কতটা পেটাতে পারেন ২০ বছরের এই তরুণ।
শুধু পেটাতে না, চাপকে বশে আনার ক্ষমতাও তার দারুণ। ম্যাচ শেষ করে ফিরতে পছন্দ করেন। চাপটা করেন উপভোগ। কিন্তু এই দুই সমন্বয়ে অভিষেক ম্যাচটা জেতা হয়নি। সেজন্য ছিল আফসোস। সে ক্ষুধাটাই রসদ যুগিয়েছে শামীমকে। ২৪ ঘন্টা পেরোতেই কথা রাখলেন এই তরুণ।
বঙ্গবন্ধু টি-২০ থেকে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ, সবখানেই চওড়া ব্যাটে শামীম দেখিয়েছেন তার সম্ভাবনা। লোয়ার অর্ডারে নেমে ঠাণ্ডা মাথায় প্রতিপক্ষ বোলাকে খুন করে জয় ছিনিয়ে নিতে জানেন তিনি। আন্তর্জাতিক সার্কিটে সুযোগ পেয়েই প্রমাণ করলেন তার ঘরোয়া পারফরমেন্স কোনো ফ্লুক ছিল না। এখন দরকার ধারাবাহিকতা। আর প্রশংসার ভিড়ে না উড়ে পা মাটিতে রাখাও যে চ্যালেঞ্জ শামীম পাটোয়ারীর।
Leave a reply