বাঁশির সুরে জীবনের আনন্দ খুঁজেন অন্ধ-পঙ্গু শোভানন্দ

|

রাঙামাটি শহরের বনরূপা বাজারের প্রবেশমুখে বাঁশি বাজাচ্ছেন অন্ধ ও পঙ্গু শোভানন্দ।

চোখে দেখেন না, তার উপর পঙ্গু। কিন্তু মোহনীয় তার বাঁশির সুর। গানই যেন তার জীবন। পাঁচ জনের সংসারে চরম অর্থাভাব, নেই মাথা গোঁজার ঠাঁই। অন্ধত্ব আর পঙ্গুত্ব নিয়েই জীবন যুদ্ধে লড়ছেন সৌখিন শিল্পী শোভানন্দ। যিনি এখন রাঙামাটির চেনা এক মুখ।

রাঙামাটি শহরের বনরূপা বাজারের প্রবেশমুখে শোভানন্দের এই বাঁশির সুর নিয়মিতই তৈরি করে অন্য এক আবহ। বাড়ি নানিয়াচর উপজেলায় হলেও, ৩ সন্তান আর স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন রাঙামাটি শহরের টিটিসি এলাকার ভাড়া বাসায়।

ছোটবেলায় দীর্ঘ অসুখে ভুগে হারিয়ে ফেলেন দৃষ্টিশক্তি। তবুও যেন বিধাতা তার ওপর রূষ্টই ছিলেন। ২০০৫ সনে সড়ক দুর্ঘটনায় হারান এক পা। সেই থেকে অন্ধত্বের সাথে সঙ্গী হয় পঙ্গুত্বও।

সব হারিয়ে শোভানন্দ হাতে তুলে নেন বাঁশি। জীবনের সব কষ্ট ভুলে বাঁশির সুরে আনন্দ খোঁজেন শোভানন্দ। আর বাঁশি বাজিয়ে যা রোজগার হয় তা দিয়ে টেনেটুনে চলে সংসার।

সৌখিন শিল্পী শোভানন্দ দেওয়ান বলেন, আগে বনরূপাতে গেলে বাঁশি বাজিয়ে কিছু ইনকাম হতো। কিন্তু, এখন লকডাউনের জন্য বনরূপাতে যেতে পারি না। ইনকামও বন্ধ। খুব সমস্যায় আছি।

শোভানন্দের স্ত্রী ও ছেলে জানান, বাসা ভাড়া ও সংসার খরচ চালাতে আমাদের খুব কষ্ট হয়। সরকার আমাদের সাহায্য করলে আমাদের খুব উপকার হতো।

অন্ধ হলেও চমৎকার হারমোনিয়াম বাজাতে পারেন শোভানন্দ। বাঁশি আর গানই যেনো তার বেঁচে থাকার অবলম্বন। প্রতিবন্ধকতার সব কষ্ট ভুলে গানে গানে জীবনের কথা বলে যান শোভানন্দ।

/এস এন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply