আফগানিস্তানে তালেবানের সাথে সরকারি বাহিনীর সংঘাতে সবচেয়ে বেশি হতাহতের শিকার হচ্ছে নারী ও শিশুরা। প্রাণ রক্ষায় বাড়ি ঘর ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। এখনই অস্ত্র বিরতি কার্যকর না হলে দেশটিতে মানবিক সংকট নতুন মাত্রা পাবে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।
তালেবান এবং সেনাবাহিনীর মুহুর্মুহু গুলিতে ঘরবন্দি সাধারণ আফগানরা। শক্তি প্রদর্শন এবং এলাকা দখলের প্রতিযোগিতায় বাদ যাচ্ছে না বসতবাড়িতে হামলাও।
জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা বলছে, চলমান এই সংঘাতে সবচেয়ে বেশি হতাহতের শিকার নারী ও শিশুরা। সম্প্রতি তাদের ওপর বেড়েছে নির্যাতনের মাত্রা। যা ২০০৯ সালের পর থেকে সর্বোচ্চ।
আফগানিস্তানে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান ফিওনা ফ্রাজের বলেন, চলছি বছরের প্রথম ৬ মাসে আফগানিস্তানে যত হতাহত হয়েছে তার প্রায় অর্ধেকই নারী ও শিশু। এটি অবশ্যই উদ্বেগের কারণ। হতাহতদের বেশির ভাগই নিজ বাড়িতেই হামলার শিকার হয়েছেন। তাদের ওপর আর্টিলারি, মর্টার এমনকি বিমান হামলা পর্যন্ত চালানো হয়েছে।
হামলার শিকার হয়ে প্রতিদিনই বাড়িঘর ছেড়ে পালাচ্ছে সংঘাতময় এলাকার মানুষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আগেই দ্রুত অস্ত্র বিরতি কার্যকরের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
ফিওনা ফ্রাজের আরও বলেন, গেলো ৮ মে সবচেয়ে বেশি হামলা চালানো হয়েছে। বাদ যায়নি স্কুলও। দ্রুতই এই সংঘাতের অবসান হওয়া দরকার। যুদ্ধবিরতি কার্যকর না হলে হতাহত এবং গৃহহীনের নতুন রেকর্ড তৈরি হবে।
তথ্য অনুযায়ী, সরকার বিরোধী বিভিন্ন বাহিনীর হাতেই ৬৪ শতাংশ মানুষ হতাহতের শিকার হয়েছে। যার ৩৯ শতাংশ হয়েছে তালেবানের হামলায়। এছাড়া প্রায় ৯ ভাগ মানুষ হতাহত হয়েছে আইএসের অভিযানে। তবে আফগানিস্তানে মোট হতাহতের মাত্র ২৩ শতাংশের দায় নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী।
/এস এন
Leave a reply