মধুমতি নদীতে টানা ভাঙন, নিঃস্ব হবার শঙ্কায় অসংখ্য মানুষ

|

মধুপতি নদীর তীব্র স্রোতে বিলীন হয়ে গেছে ইছাখালী গ্রামের কয়েকশ ঘরবাড়ি-ফসলি জমি।

মধুমতির পাড় ভাঙতে ভাঙতে চলে এসেছে বাড়ির একেবারে উঠোনে। নদীর তীব্র স্রোতে বিলীন হয়ে গেছে ইছাখালী গ্রামের কয়েকশ ঘরবাড়ি-ফসলি জমি। ভিটেমাটি, ফসলী জমি বিলীনের শঙ্কায় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ইছাখালী গ্রামের শত শত মানুষ। এতে ইউনিয়নটির মানচিত্রই বদলে গেছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে মধুমতির এমন আগ্রাসী রূপের দেখা মিলছে। শেষ সম্বলটুকু বাঁচাতে ভুক্তভোগী অনেক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে নদীর পশ্চিম পাড়ের চরে। যা পড়েছে নড়াইল জেলায়। একাধিকবার জিও ব্যাগ ফেলেও প্রতিকার মেলেনি। ভুক্তভোগীরা দাবি করছেন ভাঙন রক্ষায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের।

ভাঙন রোধে এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়া হলে, নিঃস্ব হবার শঙ্কায় অসংখ্য মানুষ। জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীরা দাবি করছেন, বিশাল জনগোষ্ঠীকে রক্ষায় স্থায়ী বাধ নির্মাণ করতে হবে।

ভিডিও প্রতিবেদনটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাশেদুর রহমান জানান, প্রতিবছরই এখানে ভাঙন হয়। গতবছর জিও ব্যাগ ফেলে জরুরি ভাবে মেরামত করা হয়েছিল। তবে এই জায়গাটির একটি স্থায়ী সমাধান করা দরকার।

গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, সমস্যা সমাধানে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায়। আমরা ইতোমধ্যে ডিজাইন করেছি, এবং সেই অনুযায়ী কাজও শুরু হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, জালালাবাদ ইউনিয়নের ডুবসি গ্রাম থেকে ইছাখালি পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ৬টি পয়েন্টে চলছে নদীভাঙন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply