আজ বাইশে শ্রাবণ, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮০তম প্রয়াণ দিবস। ৮০ বছর আগে ইংরেজি ১৯৪১ সালের ৬ই আগস্ট (বাংলা ১৩৪৮) এইদিনে কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পরলোকগমন করেছিলেন। তার মৃত্যু ছিল দেহান্তর মাত্র। তিনি বাঙালির মণিকোঠায় ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন।
রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যে মানুষ সঙ্কটকে জয় করার শক্তি খুঁজে পেয়েছে। চলমান মহামারিতে জীবনবোধের দর্শন মিলেছে, বিংশ শতকের প্লেগ মহামারির সাথে। তিনি তার সাহিত্যে মানুষের মজ্জায় থাকা রোগকে বারবার নিরসনের তাগিদ দিয়েছেন।
কবিগুরু এক জায়গায় বলেছেন, “এই নতুন অবস্থার সহিত এখনো আমরা সম্পূর্ণ আপস করিয়া লইতে পারি নাই, এক জায়গায় মিলাইয়া লইতে গিয়া আর এক জায়গায় অঘটন ঘটিতেছে। যদি এই নতুনের সহিত আমরা কোনোদিন সামঞ্জস্য করিয়া লইতে না পারি তবে আমাদিগকে মরিতেই হইবে”।
বিংশ শতকে কবি গুরু প্লেগ মহামারির পরিস্থিতি অনুধাবন করেন, যা চলমান মহামারির সাথে খুব সহজে যোগাযোগ তৈরি করে দেয়।
মহামারির এ ক্রান্তিলগ্নে তার গান, কবিতা, উপন্যাস, গল্প আমাদের ধৈর্য ধারণ করে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা দেয়। বিপদে মনের ইচ্ছাশক্তি বাড়াতে রবীন্দ্রনাথের লিখেছেন, “মুক্ত করো ভয়/আপনা মাঝে শক্তি ধরো নিজেরে করো জয়/সঙ্কোচের বিহ্বলতা নিজেরে অপমান/সঙ্কটের কল্পনাতে হোয়ো না ম্রিয়মাণ”।
রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে শেষ কথা বলা খুব একটা সহজ নয়। তার সৃষ্টিকে উপলব্ধি করে নতুনের চোখে রবি ঠাকুর বেঁচে থাকবেন শত বর্ষ পরেও প্রাসঙ্গিক হয়ে।
Leave a reply