এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে সিরিয়ার মতো ভয়াবহ পরিস্থিতি হবে আফগানিস্তানে- এমন আশঙ্কা জানিয়েছেন জাতিসংঘের আফগানিস্তান বিষয়ক বিশেষ দূত। আফগান সংকট নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশন বসেছিল।
গতকাল শুক্রবার (৬ আগস্ট) সংকটের সমাধানে তালেবানের প্রতিশ্রুতি নিয়েও প্রশ্ন ওঠে অধিবেশনে। এদিকে, চলমান সংঘাতের মধ্যে প্রথম কোনো প্রাদেশিক রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ নিলো তালেবান।
তালেবানের মুহুর্মুহু হামলায় প্রকম্পিত নিমরোজ প্রদেশের রাজধানী যারানজ। আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর সেনাদের মরিয়া প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, ঠেকানো যায়নি সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবান সদস্যদের। গতকাল শুক্রবার নিমরোজের প্রাদেশিক রাজধানী যারানজের দখল নেয় তালেবান।
এই পরিস্থিতির মধ্যে আফগানিস্তান ইস্যুতে নিরাপত্তা পরিষদে বিশেষ অধিবেশন বসে। তালেবানকে প্রতিহত করতে দ্রততম সময়ের মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে, জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানান কাবুলের প্রতিনিধির।
আফগানিস্তানের প্রতিনিধি গোলাম ইসকজাই বলেন, দোহা শান্তিচুক্তি অনুযায়ী তালেবানদের আগ্রাসন এবং বর্বরতা ঠেকাতে সংশ্লিষ্ঠ পক্ষগুলোর কার্যকর ভূমিকা নেয়ার কোনো বিকল্প নেই। সশস্ত্র গোষ্ঠীটিকে ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। এর ব্যত্যয় হলে ভয়াবহ বিপর্যয় সৃষ্টি হবে।
অধিবেশনে আফগানিস্তান বিষয়ক বিশেষ দূত আরও বলেন, ধ্বংসাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে আফগানিস্তান পরিস্থিতি। আফগান সংকটের রাজনৈতিক সমাধানে তালেবানের প্রতিশ্রুতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
আফগানিস্তান বিষয়ক বিশেষ দূত ডেবোরাহ লায়ন্স বলেন, কোনো এক পক্ষও যদি সত্যিই আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতো, তাহলে এতো মানুষের মৃত্যু হতো না। কারণ রক্তক্ষয় যত বেশি হবে সম্প্রীতি গড়ে তোলার প্রক্রিয়াও তত বেশি চ্যালেঞ্জিং হবে। এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি, সিরিয়া-ইরাককেও ছাড়িয়ে যাবে বলে শঙ্কা জাতিসংঘ প্রতিনিধির।
ডেবোরাহ লায়ন্স আরও বলেন, এটি পরিষ্কার যে আফগান সংকটের কোনো সামরিক সমাধান নেই। বর্তমান পরিস্থিতিতে আলোচনার অগ্রগতি থেমে যাওয়ায় পুরোপুরি গৃহযুদ্ধের পথে এগুচ্ছে আফগানিস্তান। যা সিরিয়া পরিস্থিতির কথা স্মরণ করিয়ে দেয় আমাদের।
উল্লেখ্য, তালেবানের আগ্রাসনে গত ১ মাসে ১ হাজারের বেশি সাধারণ আফগানের মৃত্যু হয়েছে।
/এসএইচ
Leave a reply