সারাদেশে চলছে করোনার পরীক্ষামূলক গণটিকাদান কর্মসূচি। সিটি করপোরেশন, পৌরসভার পাশাপাশি ইউনিয়ন পর্যায়েও দেয়া হচ্ছে টিকা।
শনিবার (৭ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হলেও এর ঘণ্টাখানেক আগে থেকেই কেন্দ্রগুলোয় ভিড় জমান অনেকে। আগে থেকে রেজিস্ট্রেশনকারীদের পাশাপাশি এনআইডি কার্ড দিয়ে তাৎক্ষণিক রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমেও ভ্যাকসিন নেয়া যাচ্ছে। গ্রামাঞ্চলেও টিকাদান কার্যক্রমে ব্যাপক সাড়া দেখা গেছে। প্রতিটি ইউনিয়নে একটি কেন্দ্রে তিনটি বুথ করা হয়েছে। টিকা নিতে আসা মানুষের ভিড় বেশি হওয়ায় কোথাও কোথাও বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। সংখ্যা নির্ধারিত থাকায় টিকা না নিয়েই ফিরে যান কেউ কেউ। অনেক কেন্দ্রেই মানা হয়নি স্বাস্থ্যবিধি।
এর আগে শুক্রবার (৬ আগস্ট) রাজধানীর মহাখালীতে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মুহাম্মদ খুরশীদ আলম জানান, ৭ থেকে ৯ আগস্ট সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম চালু থাকবে। ৮-৯ আগস্ট দুর্গম, প্রত্যন্ত অঞ্চলে কোভিড ১৯ এর টিকাদান কার্যক্রম চালু হবে।
তিনি আরও জানান, ১০ থেকে ১২ আগস্ট ৫৫ বছর বয়সী রোহিঙ্গাদের টিকা দেয়া হবে। ৭ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া টিকাদান কার্যক্রমে মূলত ২৫ বছর বয়সীদের এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পঞ্চাশোর্ধদের টিকা দেয়া হবে।
১৮ বছর বয়সীদের টিকার আওতায় আনার বিষয়ে তিনি জানান, ১৮ বছর বয়সী সবার জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকায় টিকা দানের বয়সসীমা ২৫ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
Leave a reply