চলতি মাসেই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালেয়ের অনাবাসিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। আর শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সকল শিক্ষার্থীকে ভ্যাকসিন প্রদান এবং করোনা সংক্রমণ সন্তোষজনক পর্যায়ে এলেই খুলবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনতে সরকারের সাথে কাজ করছেন তারা।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বলছেন, বয়স্কদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের প্রাধান্য দিয়ে ভ্যাকসিন কার্যক্রম চলছে। সরকারি শিক্ষার্থীদের পর বেসরকারি শিক্ষার্থীদেরও টিকার আওতায় আনা হচ্ছে। যোগান থাকা সাপেক্ষে আগস্ট মাসের মধ্যেই পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিনের আওতায় আনা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
ইতোমধ্যে ভ্যাকসিনের আওতায় এসেছে ১৮ বছর ও তার বেশি বয়সের অনেক শিক্ষার্থী। জাতীয় বিশ্বিদ্যালয়ের প্রায় ৩০ লাখ আর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ লাখ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১ লাখ ৩০ হাজার শিক্ষার্থী আবাসিক হলে থাকেন। এদের অধিকাংশকেই ভ্যাকসিনে আওতায় আনা গেছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তবে উচ্চশিক্ষায় ৪০ লাখের ওপরে শিক্ষার্থীকে কবে নাগাদ পুরোপুরি ভ্যাকসিনের আওতায় আনা যাবে তা বলা মুশকিল বলেও জানান তিনি। করোনার সংক্রমণ পরীক্ষার তুলনায় ৫ শতাংশের নিচে থাকা সন্তোষজনক। সংক্রমণ হার এই সন্তোষজনক অবস্থায় নিয়ে আসা এবং ভ্যাকসিন কার্যক্রমের ওপর নির্ভর করছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা, জানান শিক্ষামন্ত্রী।
উচ্চশিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে ভ্যাকসিনের বিকল্প নেই বলে মনে করেন ইউজিসির সদস্য ড. মুহাম্মদ আলমগীর। তিনিও বলেন, আবাসিক শিক্ষার্থীদের টিকাদান নিশ্চিত করার পর অন্যান্য শিক্ষার্থীদেরও টিকার আওতায় আনা হবে।
তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললেও আগের মত পুরোপুরি স্বাভাবিক কার্যক্রমে যেতে সময় লাগবে বলে জানাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
করোনার কারণে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করে সরকার। বেশ কয়েক দফায় সেই ছুটি আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সেই ছুটিরও সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে।
Leave a reply