কোভিড রোগীর ইনজেকশন: কালোবাজারে সয়লাব, সাদাবাজারে নেই

|

গুরুতর কোভিড রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় একটি ইনজেকশন যেনো সোনার হরিণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। চিকিৎসকরা একটেমরা ইনজেকশন প্রয়োগের পরামর্শ দিলেও, বাজারে পাচ্ছেন না রোগীর স্বজনরা। বিপুল চাহিদা থাকায় পর্যাপ্ত যোগান দিতে পারছে না আমদানিকারক। এ সুযোগে কালোবাজারে তিন-চার গুণ বেশি দামে ইনজেকশনটি বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।

কোভিড আক্রান্ত ষাটোর্ধ্ব খাইরুন নাহার ভর্তি ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে। চিকিৎসক তাকে একটেমরা নামের ইনজেকশন প্রয়োগের পরামর্শ দেন। দেশে ইনজেকশনটির একমাত্র সরবরাহকারী রেডিয়্যান্ট। তাদের কাছে প্রথম ডোজ পেলেও খাইরুন নাহারের ছেলে দ্বিতীয়টি পাচ্ছেন না। হন্যে হয়ে ছুটছেন ঢাকার বিভিন্ন জায়গায়। এই ইনজেকশনের খোঁজে এমন অবস্থা আরও অনেকের।

সম্প্রতি প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ-পিআইবির সহকারী অধ্যাপক কামরুন নাহার রুমা মারা গেছেন করোনায়। সময়মমতো একটেমরা ইনজেকশন জোগাড় করা যায়নি তার জন্যও।

অনেকের অভিযোগ, জরুরি এই ইনজেকশনটি রেডিয়্যান্টের কাছে না পাওয়া গেলেও বেশি দামে মিলছে অন্য জায়গায়। তবে রেডিয়্যান্টের দাবি, কালোবাজারে যেসব ইনজেকশন মিলছে তা অনুমোদনহীন। যা চোরাচালানের মাধ্যমে আনছে অবৈধ চক্র।

ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর জানিয়েছে, সঙ্কট কাটাতে বেশি ওষুধ আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। কালোবাজারে একটেমরা বিক্রির অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন পরিচালক আইয়ুব হোসেন।

অবশ্য জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বাংলাদেশে বিনা প্রয়োজনেও প্রয়োগ হচ্ছে একটেমরা। আর এ কারণেই অযৌক্তিক চাহিদা তৈরি হয়েছে। তবে বাজারে একটেমরা ইনজেকশনের সরবরাহ বাড়াতে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরকে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply