অনলাইনে সক্রিয় জঙ্গিরা, অর্ধশতাধিক সাইটের মাধ্যমে দিক নির্দেশনা (ভিডিও)

|

আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর একের পর এক অভিযানে আত্মগোপনে গেলেও থেমে নেই জঙ্গি সংগঠনগুলোর কার্যক্রম।

রিয়াজ রায়হান:

শায়খ রহমান-বাংলা ভাই যুগের অবসানের পর আত্মপ্রকাশ ঘটে নব্য জেএমবি আনসারউল্লাহ বাংলা টিমের মত প্রায় দশটি উগ্রবাদী সংগঠনের। লেখক-ব্লগার হত্যার পর তাদের বিরুদ্ধে কড়া অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ২০১৪ সাল থেকে কয়েক বছরে মারা গেছে এসব সংগঠনের অন্তত ৮০ সদস্য। কোনঠাসা হয়ে অনলাইনে প্রচারণা বাড়িয়েছে উগ্রবাদের।

আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর একের পর এক অভিযানে আত্মগোপনে গেলেও থেমে নেই জঙ্গি সংগঠনগুলোর কার্যক্রম। ভার্চুয়াল মাধ্যমেই বেশি সরব তারা। কমপক্ষে অর্ধশতাধিক সাইটের মাধ্যমে নিয়মিত নানা দিক নির্দেশনা দেয়া হয় কর্মীদের। এমন একটি সাইটে সোভিয়েত আফগান যুদ্ধে নিহত ২৪ বাংলাদেশির তালিকা পেয়েছে যমুনা নিউজ।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, সাইটটি পরিচালনা করছে আন্তর্জাতিক চরমপন্থি ও সালাফীবাদি সংগঠন আল-কায়েদার দক্ষিণ এশিয় ইউনিট। এই সাইটেই উল্লেখ করা আছে, সোভিয়েত-আফগান যুদ্ধ ও পরবর্তীতে তালেবান বিরোধীযুদ্ধে মারা গেছে ২৪ বাংলাদেশী। অনলাইন প্রচারে উদ্বুদ্ধ হয়ে তালেবানের পক্ষে যুদ্ধ করতে বাংলাদেশ থেকে আফগানিস্তানে কয়েক যুবক যাওয়ার খবর আছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কাছে।

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (সিটিটিসি) আসাদুজ্জামান বলছেন, আমরা প্রায়ই অনলাইনে আহ্বান সম্পর্কিত পোস্ট দেখতে পাই। যারা এরকম আহ্বান জানাচ্ছে তাদেরকে আমরা শনাক্ত করছি। এবং ইতোমধ্যে ২-১ জন শনাক্তও হয়েছে।

>>> ভিডিও প্রতিবেদনটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন

আইটি বিশেষজ্ঞ ও গবেষক তানভীর জোহা বলছেন, জঙ্গিরা এখন অনলাইনে অনেক সক্রিয়। তাদের ফোকাসটা শুধুমাত্র খেলাফত তৈরি করা নয় বরং একটি আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক তৈরি করাই তাদের মূল উদ্দেশ্য। তাদেরও কিন্তু মনিটরিং দল আছে।

অন্যদিকে গবেষকরা বলছেন, ভার্চুয়াল মাধ্যমে যেমাত্রায় সরব উগ্রবাদীরা, বিপরীত কার্যক্রম ততটাই নীরব। প্রযুক্তির দিক থেকে শক্ত অবস্থান তৈরি করতে না পারলে, নিয়ন্ত্রণ নেয়া কঠিন বলে মনে করেন গবেষকরা।

তানভীর জোহা আরও জানান, এখন প্রযুক্তি চলে গেছে ডার্ক নেটে, যেখানে অপরাধীদের শনাক্ত করা এবং আইনের আওতায় আনা খুব সহজ নয়।

র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম বিভাগের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, যারা বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যম ব্যবহার করে সদস্য সংগ্রহ করে, কিংবা গোপন গ্রুপ ব্যবহার করে তথ্য আদান-প্রদান করতো তাদের সম্পর্কে আমরা জেনেছি। ওইসব গ্রুপ ও ব্যক্তিদেরকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply