ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের সালথায় লাশ উদ্ধারের স্থানে ফেলে যাওয়া সিগারেটের টুকরার সূত্র ধরে এক ভ্যানচালকের খুনিদের শনাক্ত করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন, অহিদ গাজী, হাতেম ফকির, মিলন মীর, আজিজুল খান ও সোহাগ মাতুব্বর। এর মধ্যে সোহাগ ব্যতীত সকলেই তাদের দোষ স্বীকার করে নিয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। সোহাগকে ২ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। আটককৃতরা সকলেই মাদক কেনাবেচা ও জুয়া খেলার সাথে জড়িত। তারা লাভলুর কাছে থাকা ১৫ হাজার টাকা ও ভ্যানের জন্যই তাকে হত্যা করেছে। আটকের সময় ভ্যানের বিভিন্ন অংশও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
হত্যার রহস্য উদঘাটন সর্ম্পকে পুলিশ জানায়, তদন্তকারীদল লাশ উদ্ধারের স্থান থেকে সিগারেটের ফেলে দেয়া অবশিষ্ট অংশ ও খালী প্যাকেট উদ্ধার করে। এটাই ছিল পুলিশের কাছে একমাত্র বস্তুগত আলামত। আর সেই সূত্র ধরেই গ্রেফতার হয় সালথা উপজেলার দক্ষিণ আটঘর গ্রামের অহিদ গাজী। হত্যাকাণ্ডের সময় লাভলু অহিদকে ঘুষি দিয়েছিল, যাতে তার দাঁত পড়ে যায়। সে স্থানীয় এক পল্লী চিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসা নেয়। সবগুলো তথ্য মিলিয়ে পুলিশ অহিদ গাজীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে, এবং আরও ৬ জনের নাম প্রকাশ করে।
গত ১০ আগস্ট সালথা উপজেলার মীরাকান্দি এলাকার রাস্তার পাশের খাদ থেকে ভ্যানচালক লাভলু ফকিরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই সময়ে পাওয়া যায়নি তার ভ্যানটি। পুলিশের ধারনা ছিল ভ্যান ছিনতাই করতেই লাভলুকে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় নিহত লাভলু ফকিরের স্ত্রী হনুফা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামীদের নাম উল্লেখ করে গত ১২ আগস্ট সালথা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
Leave a reply