করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বা এর চিকিৎসায় আইভারমেকটিন ব্যবহারের বিষয়ে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
বৈশ্বিক মহামারি পরিস্থিতিতে গবাদি পশুর রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার্য অ্যান্টি-প্যারাজাইটিক ওষুধটি মানবদেহে প্রয়োগ নতুন বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে বলে মত যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এফডিএর।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, এর আগে একই রকম সতর্কতা জারি করেছিল মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও।
কিছু প্রাথমিক গবেষণার ভিত্তিতে গত বছর করোনার চিকিৎসায় আইভারমেকটিনের ব্যবহার শুরু হয়, বিশেষ করে লাতিন আমেরিকায়।
কিন্তু চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট জানায়, আইভারমেকটিন ও করোনাভাইরাসের প্রাসঙ্গিক তথ্যগুলো অসম্পূর্ণ ও পদ্ধতিগত সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যেমন, ছোট পরিসরে পরীক্ষা, পরীক্ষার ফল অস্পষ্ট ইত্যাদি।
গবাদি পশুর জন্য হলেও পরজীবী জীবাণু বা কৃমির সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য মানুষের দেহেও আইভারমেকটিন ব্যবহার করা হয়। কিন্তু করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় এটির ব্যবহার বিতর্কিত।
করোনার বিরুদ্ধে আইভারমেকটিনের কার্যকারিতা অপ্রতুল বলে সাম্প্রতিক কিছু গবেষণায় বেরিয়ে আসায় করোনার চিকিৎসায় ওষুধটি ব্যবহারে অনুমোদন দেয়নি এফডিএ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে সংস্থাটি আইভারমেকটিন ব্যবহারকারীদের উদ্দেশ্যে দেয়া স্পষ্ট নির্দেশনায় লিখেছে, ‘আপনারা ঘোড়া নন। বিষয়টি গুরুতর। আইভারমেকটিন সেবন বন্ধ করুন।’
আইভারমেকটিন নিয়ে লুইজিয়ানাসহ বেশ কিছু শহরে অনেকে গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে বলেও জানিয়েছে এফডিএ।ৱ
মিসিসিপি প্রশাসন জানিয়েছে, প্রাণীদের জন্য তৈরি ওষুধগুলো সাধারণত বৃহদাকার জীবজন্তুর জন্য তৈরি করা হয়। ফলে এসব ওষুধে রাসায়নিকের মিশ্রণের পরিমাণ বেশি থাকে যা মানবদেহের জন্য বিষাক্ত হতে পারে।
আইভারমেকটিন ব্যবহারে মানুষের দেহে ফুসকুড়ি, বমি ভাব, বমি, তলপেটে ব্যথাসহ বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এছাড়া গুরুতর পর্যায়ে স্নায়বিক জটিলতা ও হেপাটাইটিসের সংক্রমণ দেখা দিলে হাসপাতালেও ভর্তির দরকার হতে পারে।
এনএনআর/
Leave a reply