বেনাপোল প্রতিনিধি:
স্বরাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র ছাড়া বেনাপোল বন্দর দিয়ে টু-হুইলার পার্টসের আড়ালে আমদানি হচ্ছে ভয়ানক এসিড। ইতোমধ্যে এ ধরনের প্রায় ২৫টি চালান এই বন্দর থেকে খালাস করে নিয়ে গেছে বেশ ক’জন আমদানিকারক।
কাস্টমস ও বন্দর সূত্র জানায়, মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে টু হুইলার আমদানি পণ্যের সাথে আলাদা প্লাস্টিক জারে ভয়ানক সব এসিড আনা হচেছ। মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে আমদানি করা এসব পণ্য খালাসের দায়িত্বে ছিল বেনাপোলের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট তরঙ্গ এন্টারপ্রাইজ।
কাস্টমস এর ডেপুটি কমিশনার অনুপম চাকমা জানান, বন্দরের ১২ নম্বর শেডে এসব পন্য রেখে গোপনে খালাস করে নিয়ে যাওয়া হয়। সে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে টু-হুইলার পার্টস আমদানির আড়ালে এসিড নিয়ে আসছে।
সাধারণত এসব এসিড আমদানি করতে হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এসিড নিয়ন্ত্রণ আইনে ছাড়পত্র বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
ঢাকার এসিড আমদানিকারক ফারুক আহমেদ জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে টু হুইলার আমদানির আড়ালে ভয়ানক এসিড আমদানি করছে। যাদের কোন লাইসেন্স নেই। অবৈধভাবে আমদানি করা এসব এসিড সমাজের জন্য হুমকিসরূপ। আমরা বেনাপোল কাস্টমস কমিশনারকে গত ১১ আগস্ট ২০২১ তারিখে পত্র দিয়েছি এসব অবৈধ এসিড আমদানি বন্ধের জন্য।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার মো. আজিজুর রহমান জানান, অবৈধভাবে টু-হুইলার পার্টস আমদানির আড়ালে যারা গোপনে এসিড নিয়ে এসেছে তাদের বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে এসব পণ্যের আড়ালে যাতে এসিড আমদানি না হয় সে জন্য সকল কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
Leave a reply