স্টাফ করেসপন্ডেন্ট:
রংপুরের সিআইডি অফিসে কর্মরত একজন এএসপি, এএসআই ও কনেস্টবল অফিসের অনুমতি না নিয়েই এবং গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়াই আসামি ধরতে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন সিআইডি রংপুর জোনের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আতাউর রহমান। তাদের তিনজনকে এখন দিনাজপুর জেলা পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে বলে জানা যায়।
আতাউর রহমান যমুনা টেলিভিশনকে জানান, আমি গত ২১ আগস্ট কর্মস্থলে যোগ দেই। সে দিনই আমার অফিসের সিনিয়র পুলিশ সুপার সারোয়ার কবির সোহাগ একই অফিসের এএসআই হাসিনুর রহমান সোহাগ ও কনস্টেবল আহসানুল ফারুককে ছুটি দেন। ২৩ তারিখ অফিসিয়াল গাড়ী না নিয়ে একটি কালো রংয়ের প্রাইভেট মাইক্রো নিয়ে এএসপি সোহাগ ছুটিতে থাকা ওই এএসআই ও কনেস্টবলকে নিয়ে অভিযানে যান।
গতকাল মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) রাতে তারা দিনাজপুরের চিরির বন্দরের নান্দেরাই এলাকার লুৎফর রহমান নামক একজনকে গ্রেফতার করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক হন। পরে তাদের দিনাজপুর জেলা পুলিশের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়। আমরা রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি কষ্টিপাথরসহ এ ধরণের মূল্যবান কিছু উদ্ধারের জন্য সেখানে তারা অভিযান চালিয়েছিলেন। তবে সেখানে অভিযান পরিচালনার জন্য আমাকে কিংবা অফিসকে কোন ধরণের মৌখিক কিংবা লিখিতভাবে জানানো হয়নি, অনুমতিও নেয়া হয়নি। আটক তিনজন এখন দিনাজপুর জেলা পুলিশের হেফাজতে আছে। তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে সে জন্য আমরা উপরের নির্দশেনার অপেক্ষায় আছি।
এদিকে গত ২১ তারিখে ওই এএসআই ও কনস্টেবলকে ছুটি দিয়ে তাদেরকে নিয়ে এএসপি সোহাগের অভিযানে বের হওয়ার ঘটনায় ব্যপক তোলপাড় চলছে খোদ সিআইডি অফিসেও।
/এসএইচ
Leave a reply