২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ফল প্রকাশের পর থেকেই বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। ফলাফলে ২৪ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে একই বিষয়ে অকৃতকার্য দেখানো হয়েছে। তবে শিক্ষকরা বলছেন, ফলাফল পরিবর্তন বা পুনর্মূল্যায়নের কোনও সুযোগ নেই।
২০ জুলাই শিক্ষার্থীদের ফলাফল প্রকাশিত হয়। সেখানে অকৃতকার্য হন ২৮ শতাংশ শিক্ষার্থী। ২৪ হাজারেরও বেশি অকৃতকার্য হয়েছেন এক বিষয়ে। তাদের অভিযোগ, সশরীরে পরীক্ষা দিয়েও, অনুপস্থিত দেখানো হয় অনেককেই।
একজন অকৃতকার্য শিক্ষার্থী বলেন, কেউ যদি খাতা দেখার চ্যালেঞ্জ করে তবে তাকে খাতা দেখার সুযোগ দেয়া উচিৎ। আরেকজন বলেন, গত তিন বছরে ফাস্ট ক্লাস পেয়েছি, শেষ বছরে কীভাবে আমার ‘এফ’ আসে?
তবে খাতা অবমূল্যায়নের অভিযোগ নাকচ করেছেন শিক্ষকরা। টঙ্গী সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আবুল কালাম আজাদ বলছেন, আমরা শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখেই খাতা মূল্যায়ন করি। আমি বা আমরা কখনোই চাই না আমাদের অবহেলার কারণে কোনো শিক্ষার্থীর ক্ষতি হোক। একই কলেজের আরেক সহযোগী অধ্যাপক লায়লা হোসেন, যেহেতু বিপর্যয় হয়েছে, সেহেতু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উচিৎ খতিয়ে দেখা কেন এমন হয়েছে
যদিও আন্দোলনের বদলে পরবর্তী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুরোধ করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মশিউর রহমান।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মশিউর রহমান বলেন, পরবর্তী বছরে আবার যখন নিয়মিত পরীক্ষা হবে তারা পড়াশোনা করে পরীক্ষায় বসলে ভালো ফলাফল করবে আশা করি।
এদিকে, খাতা পুনর্মূল্যায়ণ করা না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
Leave a reply