করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট ‘মিউ’

|

করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট নাম ‘মিউ’। এখনই করোনার এই ধরন নিয়ে ‘দুশ্চিন্তার’ কারণ না থাকলেও নতুন স্ট্রেইনটিকে ‘ভেরিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ তালিকায় যুক্ত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)।

মিউ প্রথম শনাক্ত হয়েছিল চলতি বছর জানুয়ারি মাসে কলোম্বিয়ায়। এর বৈজ্ঞানিক নাম ‘বি.১.৬২১’। এখনও করোনার এই ভেরিয়েন্টের ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায়নি। তবে একটি বৈশিষ্ট দেখে কপালে ভাঁজ পড়েছে বিজ্ঞানীদের।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, এই ভেরিয়েন্টে এমন কিছু মিউটেশন ঘটেছে, যাতে দেখা যাচ্ছে, এটি হয়তো প্রচলিত ভ্যাকসিনগুলোকে উতরে যেতে সক্ষম। মিউ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আরও গবেষণা শুরু করেছেন বিজ্ঞানীরা।

বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) হু-র প্রকাশিত মহামারি বুলেটিনে এই ভেরিয়েন্ট বিষয়ে বলেছে, মিউ এর অসংখ্য মিউটেশন ঘটেছে। এতে সন্দেহ জেগেছে, হয়তো ভ্যাকসিনের ক্ষমতাকেও উতরে যাওয়ার কৌশল আয়ত্ত করে ফেলেছে মিউ।

এ পর্যন্ত মিউটেশন ঘটে সার্স-কোভ-২-র অসংখ্য ভেরিয়েন্ট তৈরি হয়েছে, হওয়াটাই স্বাভাবিক।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, অধিকাংশ মিউট্যান্ট তেমন একটা প্রভাব বিস্তার করতে পারে না। অল্প কিছু সংখ্যক ধরন মারাত্মক হয়ে ওঠে। হু’র তালিকায় ডেল্টা, আলফাসহ চারটি ‘ভেরিয়েন্ট অব কনসার্ন’ রয়েছে। ১৯৩টি দেশে ছড়িয়েছে আলফা। ডেল্টা ছড়িয়েছে ১৭০টি দেশে।

বিজ্ঞানীরা আগেই জানিয়েছিলেন, এ রকম আরও তৈরি হবে। মূলত, যত বেশি সংক্রমণ ঘটবে, তত নতুন ভেরিয়েন্ট তৈরি হবে।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, নতুন করে সংক্রমণ বাড়ছে সারা বিশ্বে। ফলে আরও নতুন ধরন তৈরি হতে পারে। যে সব অঞ্চলে টিকাকরণ কম হয়েছে বা একেবারেই হয়নি, কিংবা যেখানে করোনাবিধি ঠিকঠাক পালন করা হচ্ছে না, সেখানে তাণ্ডব চালাচ্ছে ডেল্টা। কলোম্বিয়ার পরে মিউ’র চিহ্ন মিলেছে দক্ষিণ আমেরিকার বেশ কিছু দেশে এবং ইউরোপে।

করোনা প্রতিরোধে বিশ্ব জুড়ে একাধিক ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছে। কিন্তু কোনও টিকাই ১০০ শতাংশ কার্যকারিতা প্রমাণ করতে পারেনি। বরং নতুন দুশ্চিন্তা হলো, প্রচলিত টিকার যে ক্ষমতা রয়েছে তাও যে কোনও সময়ে অতিক্রম করতে পারে করোনা ভাইরাস।

এমন পরিস্থিতিতে ব্রাজিলের সাও পাওলো বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল গবেষক দাবি করেছেন, সাপের বিষে তারা এমন একটি অণু খুঁজে পেয়েছেন, যা রুখে দিতে পারে করোনাভাইরাসকে। ‘মলিকিউল’ নামক একটি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাপত্রটি। বানরের শরীরে পরীক্ষা করে সাফল্য মিলেছে বলে দাবি করছেন তারা।

গবেষণার সাথে যুক্ত বিজ্ঞানী রাফায়েল গুইডো বলেন, করোনা ভাইরাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিনকে নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছে পিট ভাইপারের বিষ।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply