কারাগার ফেরত পরীমণি পেয়েছেন বাড়ি ছাড়ার নোটিশ। এমন এক পরিস্থিতিতে তিনি পেলেন প্রখ্যাত লেখিকা তসলিমা নাসরিনের সমর্থন। ফেসবুকে তসলিমা তার ভ্যারিফায়েড অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট দিয়ে জানান, পরীমণির অসহায়তা আমি অন্তর দিয়ে অনুভব করছি।
কারাগার থেকে বাসায় ফিরেই পরীমণি জানতে পারলেন, ভোগান্তি এখনও শেষ হয়নি তার। পেয়েছেন বাড়ি ছাড়ার নোটিশ। বনানীর বাসা ছেড়ে দিতে হবে তাকে। বৃদ্ধ নানাকে নিয়ে কোথায় যাবেন, কে খুঁজে দেবে তাকে বাসা- উদ্বিগ্নতা জানিয়েছেন এসব নিয়ে। বলেছেন, আমি এখন কোথায় যাবো, কে আমাকে এই সময় বাড়ি ভাড়া দেবে, আমাকে কি তাহলে ঢাকা ছাড়তে হবে, দেশ ছাড়তে হবে!!
তসলিমা নাসরিন এ পরিস্থিতিতে নিজের অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ করে বলেন, এরকম আমিও বলেছিলাম সেদিন।
তসলিমা নাসরিন আরও বলেন, ২০০৭ সালে আমাকে দেশ ছাড়তে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী, দেশ যদি আপাতত না-ও ছাড়ি, রাজ্য আমাকে আজ বা কালের মধ্যেই ছাড়তে হবে। দেশের দরজা বহুকাল বন্ধ। ইউরোপ ছেড়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে প্রাণের টানে আর ভাষার টানে আশ্রয় নিলাম, আর আমাকে কিনা এই আশ্রয়টিও ছাড়তে হবে, কোথাও তো আর ঘর বাড়ি নেই আমার, যাবো কোথায়!
আরও অভিযোগ জানিয়ে তসলিমা বলেন, চারদিক থেকে যখন অন্ধকার নেমে আসছে, তখন আমার বাড়িওয়ালা আমাকে বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দিয়েছিলেন। সম্ভবত মুখ্যমন্ত্রীই বাড়িওয়ালাকে বলেছিলেন ওই নোটিশটি দিতে। ষড়যন্ত্র কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে, সে দিন হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছিলাম।
পাশাপাশি পরীমণিকে আশ্বস্ত করে তিনি বলেছেন, পরীমণির শত্রু যেমন কম নয় অনুরাগী, শুভানুধ্যায়ীও তেমন কম নয়। তারা এই দুঃসময়ে তার পাশে দাঁড়াবেন, আমার বিশ্বাস।
/এম ই
Leave a reply