চার মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে কাপ্তাই হ্রদে শুরু হয়েছে মাছ শিকার। ফের কর্মচঞ্চল মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের ৪টি ঘাট। প্রাকৃতিক এই হ্রদের মাছ সুস্বাদু হওয়ায় চাহিদাও বেশি। প্রথম চারদিনে ধরা পড়েছে ৪শ টনেরও বেশি মাছ। সরবরাহ হচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।
মাছের প্রজনন ও বংশ বিস্তারের জন্য কাপ্তাই হ্রদে প্রতি বছর মে থেকে জুলাই পর্যন্ত মাছ শিকার বন্ধ থাকে। এবছর হ্রদের পানি না বাড়ায় নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ এক মাস বাড়ানো হয়।
অবশেষে চার মাস পর মাছ ধরা শুরু হওয়ায় জেলে ও মাছ ব্যবসায়ীদের মধ্যে ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্য।
এক সময় হ্রদে বড় বোয়াল, রুই, পাবদা, কাতলসহ কার্প জাতীয় মাছের উৎপাদন বেশি হলেও বৃষ্টি না হওয়ায় এবার কাচকি, চাপিলা, তেলাপিয়ার মতো ছোট মাছের আধিক্য বেশি।
চলতি মাসের প্রথম ৪ দিনেই ধরা পড়েছে ৪শ মেট্রিক টনেরও বেশি মাছ। রাজস্ব আদায় হয়েছে ৭০ লাখ টাকার বেশি। মাছের আধিক্য বাড়াতে জেলেদের ধীরেসুস্থে মাছ ধরাসহ কিছু নিয়ম বেধে দেয়া হয়েছে বলে জানালেন রাঙামাটির মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক লে. কমান্ডার তৌহিদুল ইসলাম।
মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের তথ্য মতে, দেশি বিদেশি ৭৫ প্রজাতির মাছ রয়েছে কাপ্তাই হ্রদে।
এবার মাছ ধরা একমাস বেশি বন্ধ থাকায় মাছের দাম বেশি পাওয়ার আশা করছেন রাঙামাটি মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক উদয়ন বড়ুয়া। তাছাড়া এবার মাছও বেশি পাওয়া যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
Leave a reply