রেলের উন্নয়ন হলে গেম চেঞ্জারে পরিণত হবে বাংলাদেশ

|

একটি ট্রাকে ১০ টন পরিবহণ করা যায়। বিপরীতে একটি ট্রেনে মালামাল পরিবহণ করা যায় অন্তত ২ হাজার টন। এতে সময় ও খরচ কম হওয়ায় রফতানির প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

ভারত, নেপাল ও ভুটানসহ এ অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্র বন্দর। দেশের অভ্যন্তরে সড়কের পাশাপাশি রেলের উন্নয়ন হলে গেম চেঞ্জারে পরিণত হবে বাংলাদেশ। এমনটাই মনে করছেন ঢাকাস্থ ভারতের হাই কমিশনার। এজন্য দেশের তিনটি করণীয় জরুরি বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

একটি ট্রাকে ১০ টন পরিবহণ করা যায়। বিপরীতে একটি ট্রেনে মালামাল পরিবহণ করা যায় অন্তত ২ হাজার টন। এতে সময় ও খরচ কম হওয়ায় রফতানির প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে ভারতের সাথে বেনাপোল-পেট্টাপোল, দর্শনা-গেদে, রোহনপুর-সিংগাবাদ, বিরল-রাধিকারপুর এবং হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রেল যোগাযোগ রয়েছে। প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও কাস্টমস ব্যবস্থার আধুনিকায়ন হলে বাংলাদেশ এ অঞ্চলের গেম চেঞ্জারে পরিণত হবে বলে আশা ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামীর। তিনি বলেন, রেলে পণ্য পরিবহনে এ অঞ্চলে অপার সম্ভাবনা বাংলাদেশের। এজন্য রেলের পাশাপাশি সড়ক উন্নয়নও নিশ্চিত করলে অনেক কর্মসংস্থানও তৈরি হবে। আর এটি করা গেলে পশ্চিমবঙ্গসহ সেভেন সিস্টারের সাথে বাণিজ্যেও গতি বাড়বে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্র বন্দর ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছে ভারত। সংযোগ সড়কসহ স্থল বন্দরগুলোর উন্নয়ন হলে বাংলাদেশে ভারতসহ বিদেশি কোম্পানিগুলো বিনিয়োগ করবে বলেও আশা ভারতীয় হাইকমিশনারের। অবশ্য এজন্য শুল্ক নির্ধারণসহ বাংলাদেশের বেশ কিছু প্রস্তুতি নেয়ার তাগিদ অর্থনীতিবিদদের। অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, পণ্য আনা নেয়ার ক্ষেত্রে শুল্ক এবং অন্যান্য আদায়ও সন্তোষজনক পর্যায়ে নেই।

পাশাপাশি ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলে ভারতসহ আশপাশের অন্যান্য দেশগেুলোরও বাণিজ্য গন্তব্য হবে বাংলাদেশ।

খুলনা-হলদিয়া, আশুগঞ্জ-শিলঘাটসহ মোট ১০টি নৌপথ দুই দেশের মধ্যে। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ থেকে ত্রিপুরায় সিমেন্ট রফতানি করছে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply