যে কাউকে যখন-তখন বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেয়ার জন্য দুদককে ব্ল্যাঙ্ক চেক বা ঢালাও ক্ষমতা দেয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন আপিল বিভাগ। অনুসন্ধানকালে কাউকে বিদেশযাত্রার নিষেধাজ্ঞা প্রদানের জন্য দুদককে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। হাইকোর্টে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক। আগামীকাল বুধবার পর্যন্ত এ আপিল শুনানি মুলতবি রাখেন সর্বোচ্চ আদালত।
দুদক ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের আগস্ট পর্যন্ত পাঁচ বছরে অনুসন্ধানকালে ৩৬০ জনের এবং মামলার তদন্তকালে ৭৫ জনের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেয়। আর ৬ মাস আগে হাইকোর্ট রায় দেন, দুদক কাউকে বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিতে হলে আদালতে অনুমতি লাগবে।
হাইকোর্টে সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চে এই আপিলের শুনানি হয়। শুনানিতে সর্বোচ্চ আদালত প্রশ্ন তোলেন, যদি দুদককে অনুমতি নিয়ে কাউকে বিদেশ যাত্রার নিষেধাজ্ঞা দিতে হয়; তাহলে সেটা কিছুটা সময় সাপেক্ষ। সেক্ষেত্রে সন্দেহভাজন ব্যাক্তি পালিয়ে যাবার সুযোগ থাকে- তাহলে এই সমস্যার সমাধান কি?
দুদকের মূখ্য আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, অবশ্যই ফান্ডামেন্টাল রাইট টু ট্রাভেলের ব্যাখ্যা কোর্ট দিবে। যে হাজার কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে গেল তার এবং যে সাধারণ মানুষ মেহনত করে দিন এনে দিন খায় তার ফান্ডামেন্টাল রাইট টু ট্রাভেল এক জিনিস না।
দুদক শুনানিতে বলে, পিকে হালদারের মত আসামিরা দেশের বাইরে চলে যাওয়ায় মামলার তদন্ত নিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
দুদকের মূখ্য আইনজীবী খুরশিদ আলম খান আরও বলেন, পিকে হালদারের জন্য আমরা ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারি করেছি, তারপরও তাকে ধরা যাচ্ছে না এখন পর্যন্ত।
তবে এই মামলার আরেক আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, দুদককে নিষেধাজ্ঞা প্রদানে আদালতে আসার দরকার নেই। পাসপোর্ট অর্ডার আইনে দুদক নিজেই ব্যবস্থা নিতে পারে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল আরও বলেন, পাসপোর্ট আইনের ৭(২) অনুচ্ছেদে বলা আছে যে পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষ দেশ ও জনস্বার্থে কারো বিদেশ গমন রেস্ট্রিক্ট করতে পারে।
তবে এ বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করে দুদক আইনজীবী বলেন যে, পাসপোর্ট অর্ডার আইন দুদকের তফসিলভুক্ত নয়।
/এসএইচ
Leave a reply