খুলছে স্কুল, অনেক বন্ধুই আর ফিরবে না ক্লাসে

|

দীর্ঘদিন পরে খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কিন্তু অনেক শিক্ষার্থীরই স্কুলে ফেরা নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। করোনা মহামারিতে শেষ হয়ে গেছে অনেক শিশুর শিক্ষাজীবন। নিম্ন আয়ের এলাকা সংলগ্ন স্কুলে-কলেজে ঝরে পড়ার এই হার সবচেয়ে বেশি। দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে টিকতে না পেরে স্কুল বন্ধ থাকার এই দীর্ঘ সময়ে নানা কাজে যুক্ত হয়েছেন অনেক শিক্ষার্থী। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাদের শ্রেণিকক্ষে ফেরাতে প্রতিষ্ঠান থেকে পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেও মিলছে না সাড়া। অন্যদিকে শিক্ষার্থীরাও জানাচ্ছে, অনেক সহপাঠীকেই আর ক্লাসে পাবে না বলে মন খারাপ তাদের।

মিরপুরের ধামালকোর্ট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ। এই প্রতিষ্ঠানটির আশপাশে নিম্ন আয়ের মানুষের বসবাসই বেশি; রয়েছে ছোট ছোট বস্তিও। স্কুলের শিক্ষার্থীদেরও একটি বড় অংশ এসেছে এসব পরিবার থেকে। এই প্রতিষ্ঠান থেকেই এবার এসএসসি পরীক্ষা দেয়ার কথা ইমনের। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে দেড় বছরের বেশি সময় ধরে স্কুল বন্ধ। ইমন জানিয়েছে, এ কারণেই পরিবারের আর্থিক অনটন মেটাতে স্থানীয় বাজারে বাবার সাথে মাছ বিক্রির ব্যবসায় সহযোগিতা করছে সে।

প্রায় চারশ’শিক্ষার্থীর অন্তত একশ জন এমন নানা পেশায় জড়িয়েছেন বলে জানান, স্কুলটির প্রধান শিক্ষক নিজাম উদ্দিন খান। তিনি জানালেন, স্কুল খোলা উপলক্ষ্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে আসতে বলা হয়েছে। কিন্তু তবু অনেকেই হয়তো আর ফিরবে না। ধামালকোর্ট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অন্যান্য শিক্ষকরাও জানালেন এমনই আশঙ্কার কথা।

একই এলাকার আরেক প্রতিষ্ঠান ভাষানটেক সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শতভাগ শিক্ষার্থী স্কুলে ফিরবে কিনা তা নিয়েও রয়েছে শঙ্কা। স্কুলটির অনেক নারী শিক্ষার্থী পোশাক কারখানায় কাজ শুরু করেছেন। তবু তাদের ফেরা নিয়ে আশায় আছেন স্কুলটির প্রধান শিক্ষক পারভিন ফজিলা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply