কাল খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষার্থীরা অপেক্ষায় ক্যাম্পাসে ফিরতে

|

একদিকে সশরীরে পড়ালেখার আনন্দ। অন্যদিকে করোনার বাস্তবতা। এমন পরিস্থিতিতে রাত পোহালেই খুলবে স্কুল-কলেজ। বেশিরভাগ অভিভাবকই সন্তানকে ক্লাসে পাঠাতে চান। শিক্ষার্থীরাও মুখিয়ে আছে প্রিয় ক্যাম্পাসে ফিরতে।

শিক্ষকরা বলছেন, প্রতিদিন যেহেতু সকল শ্রেণির ক্লাস নেই তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে পড়ালেখা কঠিন হবে না। শিক্ষাবিদ ও জনস্বাস্থ্য গবেষকরা বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চালাতে হবে শিক্ষা কার্যক্রম।

২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে শুরু হওয়া দীর্ঘ এই সময়ে চলছে অনলাইনে লেখাপড়া। এখন করোনা সংক্রমণ নিম্নমুখী। অভিভাবকরা মনে করছেন, স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সবাইকে স্কুলে পাঠানো উচিত। শারীরিক গঠন পরিবর্তিত হওয়ায় নতুন করে সন্তানদের পোশাক বানানোর প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেন এক অভিভাবক।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কিভাবে ক্লাস করাতে হবে তার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোও সাধ্যমত প্রস্তুতি নিয়েছে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর।

মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক শাহনাজ আখতার বলেন, প্রথমে আমরা একটি করে ক্লাস শুরু করায় যথেষ্ট ক্লাসরুম পাবো। শিক্ষার্থী সংখ্যা কমিয়ে এনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নির্দিষ্ট দূরত্বে বসানোর ওপরও গুরুত্ব দেন তিনি।

পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মানানোর বিষয়েও শিক্ষার্থীদের পারদর্শী করে তুলতে হবে বলে মত জনস্বাস্থ্যবিদদের।

আইইডিসিআরের উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন জানান, করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কোন পদ্ধতিতে চলবে সেটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু হলেই বোঝা যাবে। স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ভূমিকার ওপরই জোর দেন তিনি।

বিশ্লেষকরাও বলছেন দীর্ঘমেয়াদে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে শিক্ষার্থীদের ঝরে পরার হার ও মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা এখন সময়ের দাবি বলে মনে করেন তারা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply