মাঝপথে এসে বন্ধের উপক্রম চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প

|

মাঝপথে এসে বন্ধের উপক্রম চট্টগ্রামের অন্যতম মেগাপ্রকল্প এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ। এ নিয়ে মুখোমুখি দুই সংস্থা। বৈদ্যুতিক লাইন না সরানোয় গার্ডার স্থাপন করা যাচ্ছে না বলে দাবি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-সিডিএর। অন্যদিকে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের ভুলেই এ বিপত্তি বলছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, পিডিবি।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর থেকে লালখানবাজার পর্যন্ত নির্মিত হচ্ছে ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। পাঁচ ভাগে বিভক্ত করে চলছে কাজ। যার ল্যান্ডিং পয়েন্ট পতেঙ্গা। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ৩৭৫টি স্প্যানের মাঝখানে বসার কথা ৩ হাজার গার্ডার। এর মধ্যে পতেঙ্গা অংশে ৬০০টি বসানোর পর দেখা দিয়েছে নতুন বিপত্তি।

বিদ্যুতের ১৩টি ওভারহেড লাইন না সরানোয় চলতি সপ্তাহেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে গার্ডার স্থাপন কাজ। বৈদ্যুতিক লাইন ও খুঁটি সরানোর জন্য এরই মধ্যে পিডিবিকে ১৮ কোটি টাকা দিয়েছে সিডিএ।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী হাসান বিন শামস দুষছেন পিডিবিকে। তিনি বলছেন, রমজানের পর এক মাসের মধ্যে লাইনগুলো সরিয়ে নিতে বলা হলেও এখনও পর্যন্ত তা সরায়নি তারা। এর ফলে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ গতি ব্যহত হতে পারে বলেও জানালেন তিনি। আগামী দুই বছরের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও তা করতে পারা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে জানালেন এই কর্মকর্তা।

তবে এমন পরিস্থিতির জন্য প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের গাফিলতিকে দুষছে পিডিবি। তাদের দাবি, প্রকল্পের শুরুতে না জানিয়ে শেষদিকে এসে লাইন সরানোর কথা বলেছে সিডিএ। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান সামিনা বানু বলছেন, আগে থেকে জানালে তারা লাইন সরিয়ে দিতে পারতেন। দেরিতে জানানোর ফলেই লাইন সরানো নিয়ে জটিলতা হচ্ছে। জানালেন, এই লাইন সরানোর জন্য টেন্ডার করে কন্ট্রাক্টর নিয়োগ করতে হবে, ফলে সময় লাগাটাই স্বাভাবিক বলে মনে করছেন তিনি।

৩,২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৯ সালে শুরু হওয়া এলিভেটেডে এক্সপ্রসেওয়ে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ২০২৩ সালে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply