ঝুঁকি নিয়ে কাবুল বিমানবন্দরে কাজে ফিরেছেন ১২ নারী

|

ছবি: সংগৃহীত

আফগানিস্তানে ১৫ আগস্ট ক্ষমতাগ্রহণের পর তালেবান ঘোষণা দিয়েছিল, নিরাপত্তার জন্য নারীরা আপাতত বাড়িতেই থাকবে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত নারীদের ঘরে থাকার নির্দেশনাই দেয়া হয়। তবে কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এরই মধ্যে কাজে ফিরেছেন ১২ জন নারী। খবর ফ্রান্স ২৪ এর।

ওই ১২ নারীর মধ্যে একজন হলেন রাবিয়া জামাল। ৩৫ বছর বয়সী এই নারী তিন সন্তানের জননী। গণমাধ্যমকে তিনি জানান, আমার পরিবারের জন্য অর্থের দরকার। বাড়িতে বসে ভীষণ দুশ্চিন্তা হচ্ছিল। তাই ঝুঁকি জেনেই কাজে ফিরেছি।

শনিবার কাজে ফেরা ১২ জনের মধ্যে ছয়জনকে বিমানবন্দরের মূল প্রবেশপথে কর্তব্যরত অবস্থায় দেখা যায়। তবে ওই সময় তাদের মোটেও চিন্তিত দেখাচ্ছিল না বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএফপি।

এএফপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তালেবান ক্ষমতা গ্রহণের আগে এই বিমানবন্দরে ৮০ জন নারী কাজ করতেন। তবে এখন কাজে ফিরেছেন মাত্র ১২ জন। আফগানিস্তানে কাজে ফেরার জন্য হাতে গোনা যেসব নারীরা অনুমতি পেয়েছেন, তাদের মধ্যে তারা অন্যতম। এসব নারীরা বলছেন, বাঁধা না পাওয়া পর্যন্ত কাজ করে যাবেন তারা।

এর আগে, তালেবানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, হিজাব পরে নারীরা কর্মক্ষেত্র এবং স্কুল-কলেজে যেতে পারবে। ইতোমধ্যে, নারী ও পুরুষ শিক্ষার্থীদের মাঝখানে পর্দা টানিয়ে ক্লাস চলার দৃশ্য ভাইরাল হয়েছে বিশ্বজুড়ে। তবে জাতিসংঘ বলছে, নারীদের অধিকার নিয়ে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তালেবান, এরই মধ্যে তা লঙ্ঘন করেছে তারা। আফগান নারীদের সুরক্ষা নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করছে বিশ্বসম্প্রদায়।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply