প্রায় ২৭ বছর পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। ৮ সেপ্টেম্বর চালবোঝাই ৯টি ভারতীয় ট্রাক বন্দরে প্রবেশের মাধ্যমে এই কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতি টন চাল ৪০০ থেকে ৪৫০ মার্কিন ডলার মূল্যে আমদানি করা হচ্ছে। ২৫ শতাংশ শুল্কে আমদানি করা হচ্ছে এসব চাল।
ইতোমধ্যে প্রায় দুই কোটি ২০ লাখ টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। এই বন্দর দিয়ে আমদানি বাণিজ্য বাড়লে সরকারের রাজস্ব আয়ও বাড়বে বলে জানিয়েছেন আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।
আমদানি শুরু হওয়ায় এই স্থলবন্দরে কর্মচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। রাজস্ব আয় যেমন বাড়ছে তেমনি বন্দরের দৈনন্দিন মাশুল আয়ও বাড়ছে। আমদানির অনুমোদন বেশি করে পাওয়া গেলে বন্দরে কর্মসংস্থানে আরও বাড়বে বলে মত আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্রাফকি) মোস্তাফিজুর রহমানের।
এদিকে আখাউড়া সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোবারক হোসেন ভূঁইয়া বলছেন, চালের আমদানি শুল্ক কমানো ও বরাদ্দ দেয়ায় বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। আগরতলা বন্দরে প্রচুর চালবোঝাই ট্রাক রয়েছে বলেও জানান তিনি। এসব চাল দেশে প্রবেশ করলে চালের দাম কমে আসবে বলে মত তার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আগরতলা বন্দরে চালভর্তি ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের অপক্ষোয় রয়েছে। গত শনিবারের পর সোমবার সকাল পর্যন্ত কোনো চাল আমদানি হয়নি।
অন্যদিকে আখাউড়া বন্দরে ভারতীয় ট্রাক চালকদের অভিযোগ, ভারতীয় চালবোঝাই ট্রাক নিয়ে তারা আখাউড়া বন্দরে দুইদিন ধরে অপেক্ষা করছেন। খালাস না হওয়ায় ট্রাক নিয়ে দেশে ফিরতে পারছেন না তারা। ট্রাক চালকদের দিনে দিনে ফেরত যাওয়ার কথা থাকলেও আমদানিকারকরা সময়মতো খালাস করছেন না চাল। এর ফলে ব্যাপক দুর্ভোগ আর ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে এসব চালকদের।
আখাউড়া স্থলবন্দর কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, ভারতের উত্তর-র্পূবাঞ্চলের রাজ্যগুলোর সঙ্গে আখাউড়া স্থলবন্দর সীমান্ত পথে আন্তঃবাণিজ্য সম্প্রসারণে ১৯৯৪ সালে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য শুরু হয়। যাত্রা শুরুর র্দীঘ ২৭ বছর পর আখাউড়া-আগরতলা স্থলবন্দর দিয়ে এই প্রথম চাল ও গম আমদানি করা হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, চাহিদা অনুযায়ী ভারত থেকে পণ্য আনতে পারলে রাজস্ব আয়ের পাশাপাশি কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হবে শত শত মানুষের।
এ পর্যন্ত ৯৬টি ট্রাকের মাধ্যমে মোট ২ হাজার ৫শ ১৭ মেট্রিক টন নন-বাসমতি চাল ভারত থেকে আমদানি করা হয়েছে।
Leave a reply