চীনকে মোকাবেলায় বিশেষ নিরাপত্তা চুক্তি ‘AUKUS’ স্বাক্ষরের ঘোষণা দিলো যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়া। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেতৃত্বে ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যাতে যৌথ বিবৃতি দেন ৩ দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান। এর ফলে অত্যাধুনিক প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ভাগাভাগি করবে দেশগুলো। এছাড়া প্রথমবারের মতো পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন সাবমেরিন তৈরির সুযোগ পাবে অস্ট্রেলিয়া।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার বিবৃতিতে বলেন, AUKUS পারস্পরিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কার্যকর হবে। কারণ, একশো বছরের বেশি সময় ধরে আমরা বিশ্বাসযোগ্য এবং শক্তিশালী মিত্র। নিজস্ব অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং সামরিক সক্ষমতা ভাগাভাগির মাধ্যমে শক্তি প্রতিরক্ষা বলয় গড়ে তোলা সম্ভব। এছাড়া ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতেই এ ত্রিদেশীয় উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে অঞ্চলটি থেকে আসা ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা হুমকিও মোকাবেলা করা সম্ভব।
চুক্তির প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে অস্ট্রেলিয়াকে পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন সাবমেরিন অর্জনে সহযোগিতা করবে বাকি দু’দেশ। আরও থাকবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, কোয়ান্টাম প্রযুক্তি ও সাইবার নিরাপত্তা।
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, ত্রিদেশীয় নিরাপত্তা চুক্তির মাধ্যমে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো। এর মাধ্যমে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে কমানো হবে অস্থিরতা। প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে অস্ট্রেলিয়াকে পরমাণু ক্ষমতাসম্পন্ন সাবমেরিন তৈরিতে সহযোগিতা করা হবে। সেক্ষেত্রে অবশ্যেই পারমাণবিক নীতিমালাগুলো মেনে চলবো আমরা।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন, অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তার স্বার্থেই এ চুক্তি। মিত্রদের সাথে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে। এছাড়া পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন সাবমেরিন তৈরিতেও সহযোগিতা করবে বাকিরা।
ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের সামরিক উপস্থিতি বাড়তে থাকায় উদ্বিগ্ন বিশ্ব সম্প্রদায়। সমুদ্রসীমায় নজরদারি ও শক্তিবৃদ্ধি করছে দেশটি। প্রতিবেশীদের অভিযোগ- আন্তর্জাতিক জলসীমায় আগ্রাসন বাড়াচ্ছে । তবে বরাবরই তা অস্বীকার করে আসছে বেইজিং।
নিরাপত্তা চুক্তি স্বাক্ষরের পর এ পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে ওয়াশিংটনের চীনা দূতাবাসের কর্মকর্তা বলেন, এই তিন দেশের উচিৎ স্নায়ুযুদ্ধের মানসিকতা এবং আদর্শগত কুসংস্কার পরিহার করা।
Leave a reply