দেশি বা আন্তর্জাতিক কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে দায়সহ প্রতিষ্ঠানটি বিক্রি অথবা দেউলিয়া ঘোষণার পরিকল্পনা ছিল ইভ্যালির সিইও রাসেলের।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইভ্যালির গ্রেফতারকৃত মালিকদের কাছ থেকে প্রচুর সংখ্যক গ্রাহককে প্রতারিত করার ব্যাপারে এমন সব তথ্য পাওয়া গেছে। আজ র্যাবের ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি জানান, ইভ্যালির মাধ্যমে প্রতারণার মূল হোতা হচ্ছেন ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন।
র্যাব জানিয়েছে, হাজার কোটি টাকা দেনা রয়েছে বলে প্রকাশ করেছেন রাসেল। এছাড়া কীভাবে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেয়া হবে সে বিষয়েও কোনো উত্তর দিতে পারেননি ইভ্যালির সিইও।
র্যাব ব্রিফিংয়ে জানায়, বেতন বাবদ ইভ্যালির খরচ পূর্বে পাঁচ কোটি টাকা থাকলেও এখন তা দেড় কোটিতে নেমে আসে। গত জুন মাস থেকে এ পর্যন্ত অনেক কর্মচারীকেই বেতন প্রদানে সক্ষম হননি রাসেল। তবে পদাধিকার বলে প্রতি মাসে ইভ্যালি থেকে পাঁচ লাখ টাকা করে বেতন গ্রহণ করতেন তিনি।
ইভ্যালিকে দক্ষিণ এশিয়ায় ‘ওয়ান ম্যান শো’ প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত করানোর লক্ষ্য ছিল রাসেলের, এজন্য বিভিন্ন স্থানে স্পন্সর করেছেন। তবে এর পেছনে কোনো প্রভাবশালী মহলের ইন্ধন এখনো পাওয়া যায়নি।
এছাড়া বিদেশে পালিয়ে যাওয়া এবং টাকা পাচারের কোনো তথ্যও পাওয়া যায়নি বলে জানায় র্যাব।
রাসেল বিভিন্ন দেশে গিয়েছেন কিন্তু কোথায় বিনিয়োগ করেছেন সে সম্পর্কিত কোনো তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি। তবে অর্থপাচারসহ এসব বিষয়ে বিএফআইইউসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর তদন্ত করার সুযোগ আছে বলে জানায় র্যাব।
/এম ই
Leave a reply