পদে পদে ভয় আর আতঙ্ক। তারপরও উন্নত জীবনের আশায় স্বপ্নের দেশ আমেরিকা পৌঁছাতে লাতিন শরণার্থীরা পাড়ি দিচ্ছেন ভয়ংকর বনাঞ্চল দারিয়েন গ্যাপ। সেখান থেকে মেক্সিকো হয়ে অভিবাসন প্রত্যাশীরা পৌঁছান যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে।
অন্ধকার নামলেই যাত্রাবিরতি দেয়া হয়। তাবু খাটিয়ে সারা হয় সামান্য বিশ্রামও। এরপর সূর্য উঠলে আবারও স্বপ্নের খোঁজে পথচলা। ভয়ংকর সব প্রাণী আর ফার্ক গেরিলাদের মতো বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হামলার শঙ্কা মাথায় নিয়েই এ বনাঞ্চল পাড়ি দিচ্ছেন হাজারো শরণার্থী।
কলম্বিয়া ও পানামাকে যুক্ত করা প্রায় ১৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ দাড়িয়েন গ্যাপ বনাঞ্চলটি প্রতিনিয়ত পাড়ি দিচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। মূলত বলিভিয়া, ভেনেজুয়েলা, পেরুর মতো লাতিন দেশগুলো থেকেই দলে দলে পাড়ি দিচ্ছেন এই গ্যাপ। সেখান থেকে নানাভাবে মেক্সিকো পৌঁছান এসব অভিবাসী।
মানব পাচারকারীদের জন্য রীতিমতো স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে এই দুর্গম দারিয়েন গ্যাপ। বনাঞ্চলটি পাড়ি দিতে জনপ্রতি ৫০ ডলার এবং পানি ও মালামাল বহনের জন্য নেয় হয় আরও ২০ ডলার।
ডেভিডসন ল্যাফলর নামক এক অভিবাসন প্রত্যাশী বলেন, যেখান থেকে এসেছি সেখানে কোনো ভবিষ্যত নেই। প্রতি মুহূর্তে মৃত্যুর ঝুঁকি। তাই লক্ষ্য আমেরিকায় যাওয়া। নিউইয়র্কে একবার যেতে পারলেই আর কোনো চিন্তা নেই।
আরেক অভিবাসন প্রত্যাশী জিন মার্টিন বলেন, একমাস হলো এভাবে চলেছি বিভিন্ন অঞ্চল পাড়ি দিয়ে। তবে সবচেয়ে বেশি কষ্ট এই পথ পাড়ি দিতে। যত কষ্টই হোক আমরা এগিয়ে যাবোই।
পানামার বিভিন্ন শরণার্থী ক্যাম্পে নতুন করে তালিকাভুক্ত হয়েছে ৭০ হাজার অভিবাসন প্রত্যাশী। যা সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম অবস্থা দেশটির। গত আগস্টেই প্রায় ২০ হাজার মানুষ এই বনাঞ্চল পাড়ি দিয়েছে বলে জানিয়েছে পানামা কর্তৃপক্ষ।
Leave a reply