জাতিসংঘের চলতি অধিবেশনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একহাত নিলেন ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রঈসি। নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যেকটি দেশকে অর্থনৈতিকভাবে ধ্বংস করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ তার।
জাতিসংঘে দেয়া রেকর্ডকৃত ভাষণে রঈসি আরো বলেন, বিশ্বের নানা দেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ যুক্তরাষ্ট্রের নয়া রণকৌশল। পরমাণু কর্মসূচি বা ইসলামিক রেভ্যুলেশনের জন্য ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিরোধ এবং জ্বালানি প্রতিষ্ঠানগুলো জাতীয়করণের কারণেই ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী আগ্রাসন, রক্তপাত এবং অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্যেই যুক্তরাষ্ট্র আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। ইরাক এবং আফগানিস্তান থেকে মার্কিনিরা বিতাড়িত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
চলতি অধিবেশনেই ইরানের সাথে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে ৬ বিশ্ব পরাশক্তির। দীর্ঘদিন স্থগিত থাকা ঐতিহাসিক পরমাণু চুক্তি বিষয়ক আলোচনা শুরুর জন্যেই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানা জায়। রঈসির বক্তব্যে সেটি আশার আলো দেখবে কিনা সেটাই এখন আলোচনার বিষয়।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ইরানের সাথে জাতিসংঘের স্থায়ী সদস্য পাঁচটি দেশ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন, রাশিয়া ও অন্যতম বিশ্ব পরাশক্তি জার্মানি একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিতে সম্মত হয়। এই চুক্তি অনুযায়ী ইরান তাদের কিছু পরমাণু কার্যক্রম বন্ধ করবে। তার পরিবর্তে ইরানের ওপর চাপানো কড়া শাস্তিমূলক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হবে।
তবে, ইরান চুক্তির শর্ত মানছে না উল্লেখ করে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র এ চুক্তি থেকে বেরিয়ে যায়। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে এ চুক্তি থেকে বেরিয়ে যায় দেশটি। ইরানও এরপর চুক্তি মানার বিষয়ে আর আগ্রহ দেখায়নি।
Leave a reply