শিঁরদাড়া বেয়ে নামা হিম শীতল স্রোতের মতো কোনো ভৌতিক সিনেমা গল্প নয়। একেবারে জলজ্যান্ত সত্যা ঘটনা-বস্তাভর্তি বরফে জমাট বাঁদা ২৭ জোড়া হাত পাওয়া গেছে।
রাশিয়ার সাইবেরিয়ান টাইমসের বরাত দিয়ে টাইসম অব ইন্ডিয়া’র প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া-চীন সীমান্তের কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে খাবারস্ক অঞ্চলের নদীর ধারে ওই ব্যাগটি পাওয়া গিয়েছে। রক্ত লেগে থাকা হাতগুলো রোগাটে ও বিবর্ণ হলুদ রঙের।
এই ঘটনার পিছনে কী কারণ থাকতে পারে? সাইবেরিয়ান টাইমস বলছে, এই ঘটনা প্রকাশিত হওয়ার এক দিন পর রাশিয়ার কর্মকর্তারা একে ভূয়া বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তাদের দেওয়া প্রথম প্রতিবেদনে তারা বলছেন, ওগুলো আসলে হাসপাতালের ব্যান্ডেজ, এবং ওগুলো হাসপাতালে ব্যবহারের জন্য প্লাসিক সামগ্রী।
এরপর তারা আবার বলছেন, ওই কাটা হাতগুলো সঙ্গে অপরাধ ঘটিত কোনো বিষয় জড়িত নেই।
একেক বার একেক রকমের বক্তব্য সন্দেহের মাত্রাকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে বলে জানিয়েছে সাইবেরিয়ান টাইসম। এই ঘটনার একটি যোগ সূত্র টানতে চাইছে সংবাদ মাধ্যমটি।
তারা বলছে, “কবর দেওয়ার পর আঙ্গুলের ছাপ দরকার হতে পারে এমনটি ভেবে রাশিয়ায় বেওয়ারিশ লাশের হাত কেটে রাখা হয়। হাতগুলো ফরেনসিক পরীক্ষাগারে সংরক্ষণ করা হয়। এরপর খুব সম্ভবত অজ্ঞাত কোনো কারণে ফেলে দেওয়া হয়।”
এ ধরনের ব্যাখ্যায় কী পুরো বিষয়টা সমাধান মিলে যায়। এই ঘটনা প্রকাশ্যে নিয়ে আসা সাইবেরিয়ান টাইসমই কিন্তু পুরোপুরি মানতে পারছে না।
সংবাদ মাধ্যমটি বলছে, “এটা পরিস্কার নয়, মরদেহ থেকে আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে কম্পিউটারে কেন সংরক্ষণ করা হলো না?”
প্রশ্ন এখানেই শেষ। এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গেলে আরও অনেক অনেক প্রশ্ন সামনে চলে আসে। যার উত্তর কেবল পুরো দস্তুর একটি পূর্ণাঙ্গ তদন্তের সফলতা থেকেই আসতে পারে।
যমুনা অনলাইন: এফএইচ
Leave a reply