ট্রাক চালক লিটন ও আবু তালেব প্রামাণিক হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত, ৩০২ ধারায় হত্যা মামলা প্রত্যাহার, ড্রাইভিং লাইসেন্স জটিলতাসহ ১০ দফা দাবি মেনে নেয়ার প্রেক্ষিতে ২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর ডাকা কর্মবিরতির কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছে বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান লরি প্রাইমুভার মালিক শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ।
রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে পরিবহন নেতাদের এক রুদ্ধদার বৈঠক শেষে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠক শেষ হওয়ার পরই পরিবহন কর্মবিরতি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় সংগঠনটি। আগামীকাল থেকেই চলবে পরিবহন।
এসময় পরিবহন থেকে পুলিশসহ বিভিন্ন সংগঠনের চাঁদাবাজি বন্ধেও সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ জানাতে একটি হটলাইন সার্ভিসও চালু করা হয়েছে। তবে মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের জন্য চাঁদা আদায় করা যাবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মো. মসিউর রহমান রাঙ্গা, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান, সড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন, পুলিশের আইজি ড. বেনজীর আহমেদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। মূলত, পরিবহণ মালিক-শ্রমিক সংগঠন যে ১০ দফা দাবি তুলেছিল তার পরিপ্রেক্ষিতেই এ তিন ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক।
সভা শেষে শাজাহান খান জানান, পরিবহন থেকে চাঁদাবাজির বিষয়ে কঠোর আলোচনা হয়েছে। সড়ক-মহাসড়কে চাঁদা নেয়া যাবে না। মালিক ও শ্রমিক সংগঠন শুধু টার্মিনালে ৩০ টাকা করে মোট ৬০ টাকা চাঁদা আদায় করতে পারবে। এর বেশি কেউ টাকা নিতে পারবে না।
মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ঢাকায় সবচেয়ে বেশি চাদাবাজি হয়। বিশেষ করে কাওরানবাজার ও তার আশেপাশের এলাকাগুলোতে। বিভিন্ন জেলায় শ্রমিকের নামে অনেক ভুঁইফোড় সংগঠন গড়ে উঠেছে। এসব সংগঠনের নামে চাঁদাবাজি করা হয়। এসব বন্ধের দাবি জানিয়েছি আমরা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের দাবি মেনে নিয়েছেন।
Leave a reply