মাতৃত্বকালীন ভাতা পাচ্ছে পুরুষ! সুবিধা পেতে ঘুষ

|

ছবি: সংগৃহীত

আমিন বাবু:

মাতৃত্বকালীন ভাতা, কিন্তু পাচ্ছেন পুরুষরা! আবার একজনের টাকা পাচ্ছেন অন্যজন। ল্যাকটেটিং মাদার কর্মসূচি নিয়ে এলাহিকাণ্ড বরগুনায়। সুবিধাভোগী করে দেয়ার নামে ঘুষের রমরমা কারবার এই শহরে ওপেন সিক্রেট।

নিম্ন আয়ের কর্মজীবী গর্ভবতী ও দুগ্ধদায়ী মায়েদের জন্য ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল কার্যক্রম চালু আছে সরকারের তরফে। এর আওতায় শিশুর ৩ বছর বয়স পর্যন্ত প্রত্যেক মায়ের ২৮ হাজার ৮শ’ টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সহায়তা পাওয়ার কথা। কিন্তু উপকূলীয় জেলা বরগুনায় কতজন জানেন এ কর্মসূচি সম্পর্কে?

অনেকেই বলছেন, এরকম ভাতা সম্পর্কে আমরা কিছুই জানি না। আমরা ভাতা পাইও না। আবার কেউ কেউ বলছেন, আবেদন যদি করিও মুখ চিনে চিনে দেয়, আমাদের দেয় না।

এ জেলায় কর্মসূচির শুরু থেকেই ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ আছে। পৌর এলাকার নিম্ন আয়ের কর্মজীবী মায়েদের বদলে, ঘুষের বিনিময়ে অন্য উপজেলায় দেয়া হয়েছে বরাদ্দ। আবার বরাদ্দের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিপুল অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ারও অভিযোগে উঠেছে। দুগ্ধদায়ী মায়েদের জন্য এই প্রকল্প হলেও তা পাচ্ছেন পুরুষরা। আবার অন্য জেলার ভোটার হয়ে স্বামী স্ত্রী দুজনই পাচ্ছেন মাতৃত্বকালীন ভাতা।

কার্যক্রমের শুরুর দিকের সুবিধাভোগী পৌরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের মাস্টার রোল কর্মচারী মরিয়ম আক্তার বিথী। ২০১৭ সালে ঘুষের বিনিময়ে প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হন তিনি। পরে ১৬৯ জনের কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা নিয়ে তা তুলে দেন চক্রের অন্য সদস্যদের হাতে।

অভিযুক্ত মরিয়ম আক্তার বিথী বলেন, যারা টাকা খেয়ে তাদের নাম দিয়েছে তারাই এখন বলে আপনার এই টাকা আর পাবেন না। তাহলে এই টাকা গেলো কোথায়? আমি মূলত এক টাকাও খায়নি, টাকা খেয়েছে ওরা। এর দায়ভার আমি কেনো নেবো।?

সরকারি প্রকল্পে অনিয়ম, দুর্নীতি আর স্বেচ্ছাচারিতা নিয়ে প্রধান অভিযুক্ত মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply