টিকা নিয়ে সংকট কাটছেই না

|

করোনা ভ্যাকসিন কার্যক্রমের শুরুতেই অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। আর এরপর নিবন্ধন করে দীর্ঘ অপেক্ষা সত্ত্বেও অনেকেই পাচ্ছেন না এসএমএস। এসএমএস না পেয়ে টিকা দিতে পারছেন না প্রায় দুই কোটি মানুষ।

করোনা মোকাবেলায় স্বাস্থ্যবিধির পাশাপাশি ভ্যাকসিনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। আগের তুলনায় বেড়েছে ভ্যাকসিনের চাহিদাও। এরইমধ্যে নিবন্ধন করেছেন প্রায় সাড়ে চার কোটি মানুষ। এক ডোজ পাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে আড়াই কোটির। বাকি দুই কোটি এখনও ম্যাসেজের অপেক্ষায়। বিএসএমএমইউর সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম মনে করেন, সক্ষমতা বিবেচনায় না রেখে পরিকল্পনা নেয়ায়ই সৃষ্টি হয়েছে এই সংকট।

দেশে এখন পর্যন্ত মোট ভ্যাকসিন পাওয়া গেছে সাড়ে পাঁচ কোটির বেশি। এরমধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ১ কোটি ৩৩ লাখ, সিনোফার্ম ৩ কোটি ৪৫ লাখ, মডার্না ৫৫ লাখ এবং ৩৬ লাখ ডোজ ফাইজার। দেয়া হয়েছে ৪ কোটি ডোজ। হাতে আছে সিনোফার্ম ও ফাইজারের এক কোটির বেশি ডোজ। মজুদ ভ্যাকসিনেও দ্বিতীয় ডোজের নিশ্চয়তা নেই। তবে আশার কথা শোনালেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা রোবেদ আমিন। তিনি বললেন, এ বছরের মধ্যেই পাওয়া যাবে আরও বেশকিছু টিকা। তাই সংকট কাটবে শীঘ্রই।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন মজুদ নিশ্চিত না করে গণটিকা দেয়ায় নিবন্ধিতরা টিকা পাচ্ছেন না। তবে স্বাস্থ্য বিভাগের দাবি ভ্যাকসিনেশনে বঞ্চিতদের যুক্ত করতেই নেয়া হয়েছিল গণটিকার পরিকল্পনা ।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply