শেষ হলো মমতা ব্যানার্জির মর্যাদার লড়াই ভবানীপুর উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ। নির্বাচনে জয়-পরাজয় নিয়ে নানা শঙ্কা-সংশয় থাকলেও তৃণমুল নেতাদের দাবি, শেষ হাসি হাসবেন মমতাই। যদিও বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ হস্তক্ষেপ করা হয়েছে ভোটে।
পশ্চিমবঙ্গের ভবানীপুর, তৃণমূলের শক্ত এ ঘাটি পরিচিত মমতার আসন নামে। এখান থেকে বিজয়ী হয়েই দীর্ঘদিন পার্লামেন্টে প্রতিনিধিত্ব করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। এ আসনে মমতার বিপরীতে লড়ছেন বিজেপির প্রিয়াংকা টিব্রেওয়াল ও সিপিআইএমের শ্রীজীব বিশ্বাস। নির্বাচনকে ঘিরে সিআরপিএফ এর প্রায় আড়াই হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয় ২৮৭ কেন্দ্রে। ঝুকিপুর্ণ আসনগুলোয় জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। নির্বাচনে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে কারচুপি এবং ভোটারদের বাধা দেয়ার অভিযোগ বিজেপির।
ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াংকা টিব্রেয়াল বলেন, বেশকিছু কেন্দ্রে আমাদের পোলিং অ্যাজেন্টদের ঢুকতে দেয়া হয়নি ভোটকেন্দ্রে, এমনকি বাইরেও অবস্থান করতে দেয়া হয়নি বিজেপি অ্যাজেন্টদের।
মমতা ব্যানার্জির অস্তিত্ব আর মর্যাদার লড়াই ভবানীপুর উপনির্বাচন। ভোটে হারলে মুখ্যমন্ত্রীত্বের পদ চলে যাওয়ার ঝুঁকি না থাকলেও, প্রশ্ন উঠবে তার রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে। ভবানীপুরে জয় না পেলেও অংশ নিতে পারবেন অন্য আসনের উপনির্বাচনে।
পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম বলেন, এখানে মানুষ ভোট দেয়ই মমতা ব্যানার্জিকে, এখানে অন্যকিছু চলবে না। এখানকার মানুষের মমতা ব্যানার্জির প্রতি একটা আলাদা আবেগ আছে এটা বোঝার চেষ্টা করুন।
পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল নেতা কার্তিক ব্যানার্জি বলেন, এখানকার সমস্ত মানুষ দিদিকেই ভোট দিচ্ছে, এখানে অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের কোনো অস্তিত্ব নেই। এখানকার ভেতরে বাইরে শুধুই মমতা ব্যানার্জি।
গেলো মার্চ-এপ্রিলে বিধানসভার ভোট হয় রাজ্যে। সেসময়, নিজ আসন নন্দীগ্রামে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে যান মমতা ব্যানার্জি। কিন্তু ২১৩ আসনে জয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ হিসেবে পশ্চিমবঙ্গে সরকার গঠন করে তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী পদে তৃতীয়বারের মতো শপথ নেন মমতা। সংবিধান অনুসারে, মুখ্যমন্ত্রী থাকতে হলে ৬ মাসের মধ্যে বিধানসভার কোনো আসনে জিততে হবে তাকে।
/এসএইচ
Leave a reply